কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
করোনায় আক্রান্ত এক স্নেহপরায়ন বাবা মৃত্যুর আগে দুই সন্তানের উদ্দেশ্যে আবেগঘন এক চিঠি লিখে গেছেন। সেই চিঠিতে স্ত্রীকেও ভালোবাসার কথা জানান তিনি। এভাবে তিনি প্রিয়জনদের কাছে শেষ বিদায় নেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের ড্যানবারিতে গত বুধবার মারা যান জোনাথন কোয়েলহো (৩২) নামের এই বাবা। তিনি করোনার বিরুদ্ধে অসম সাহসিক এক যুদ্ধ করে হেরে যান।
শোকার্ত স্ত্রী কেট (৩৩) জোনাথনের মৃত্যুর পর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তার পাশে বসেছিলেন। জোনাথনকে তার পরিবার কতটা ভালোবাসে একথাই বিলাপ করে বলছিলেন কেট। এরপর কেট জোনাথনের ফোন হাতে পেয়ে দেখতে পান সেখানে তার স্বামী চিঠি লিখে রেখে গেছেন। ভেন্টিলেশনে যাবার আগের দিন জোনাথন এই চিঠি লিখেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সাহায্য তহবিলের ওয়েব পেজ ‘গোফান্ডমিপেজ’ এ হৃদয়স্পর্শী এই চিঠি শেয়ার করা হয়। চিঠিতে জোনাথন বলেন, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেককে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসি। সবসময় আমি যেমনটা চাইতাম, তেমন একটা সুন্দর জীবন তোমরা আমাকে দিয়েছো।’
স্ত্রী কেটকে উদ্দেশ্য করে জোনাথন বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য, তোমার মতো একজনকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। আমাদের সন্তান ব্রেইডেন ও পেনিকে পেয়ে আমি গর্বিত।’
তিনি কেটকে বলেন, ‘কেটি, তুমি আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর, যত্নশীল একজন মানুষ। তুমি সত্যিকার অর্থেই তেমন একজন মানুষ…..সারাজীবন তুমি সুখে থেকো আর হাসি-খুশি থেকো-যা দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। তুমি আমার দেখা একজন সেরা মা, যার কাছে সন্তান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রেইডেনকে জানিয়ো, সে আমার খুব ভালো ছেলে। সে যা করেছে এবং ভবিষ্যতে যত ভালো কাজ করবে, সেজন্য আমি গর্বিত। পেনেলোপেকে বলো, সে একটা রাজকন্যা। জীবনে সে যা চায়, তাই সে পাবে। আমি ভীষণ সৌভাগ্যবান।’
জোনাথনের দেহে গত ২৬ মার্চ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক সপ্তাহ কাটালেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন ভাবা হলেও তার আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে নিয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ দিন করোনার সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে হার মানেন তিনি। গত ২২এপ্রিল মৃত্যু হয় তার।
সূত্র: দ্য মিরর
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়