কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানোর মতো
কিছু লক্ষণকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এতদিন ধরা হতো।
এ ছাড়া নানা সময়ে বিভিন্ন বয়সী রোগীর ক্ষেত্রে চোখে প্রদাহ, ডায়রিয়া,
অ-কোষে ব্যথা, পেটে ব্যথাসহ আরও অদ্ভুত সব উপসর্গও দেখা গেছে।
তবে এবার করোনা উপসর্গের তালিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ৬ লক্ষণ যুক্ত
করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন
(সিডিসি)। এগুলো হলো- অত্যধিক শীত করা, কাঁপুনি দেওয়া, মাংসপেশিতে ব্যথা,
মাথাব্যথা, স্বাদ বা ঘ্রাণশক্তি হারানো, বুকে ব্যথা, ঠোঁট নীলচে হয়ে
যাওয়া।
এ ছাড়া সিডিসি জানিয়েছে, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লেও তাকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে ধরা হবে। ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই দেখা যাবে এ উপসর্গগুলো।
এ ছাড়া সিডিসি জানিয়েছে, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লেও তাকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে ধরা হবে। ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই দেখা যাবে এ উপসর্গগুলো।
এদিকে করোনা ভাইরাসের নতুন উপসর্গ হিসেবে হাত, পিঠ, বুক এমনকি জিহ্বায়
র্যাশের মতো সমস্যার খবর আসছে। বিশেষ করে এ সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে
শিশুদের মধ্যে ত্বকে গুরুতর প্রদাহজনক রোগ দেখা দিয়েছে।
এমন উপসর্গ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বহু শিশুকে বিভিন্ন হাসপাতালের
আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার
(এনএইচএস) আওতাধীন সব চিকিৎসককে জরুরি সতর্কতা পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্য
বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি করোনা ভাইরাস কোনো
উপসর্গ।
আবার ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে করোনা রোগীদের মধ্যে দেখা গেছে আরেক অদ্ভুত উপসর্গ। ‘কোভিড ফিট’ নামের এই উপসর্গে রোগীদের পায়ের পাতায় বা আঙুলে তীব্র ঠাণ্ডার জন্য সৃষ্ট ঘায়ের মতো ক্ষত বা ত্বক লাল-নীল রং ধারণ করতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে দেখা দিচ্ছে চুলকানি। বিশেষজ্ঞরা বরছেন, মূলত শীতপ্রধান দেশগুলোয় এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলেও ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোয়ও এমন সমস্যা যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়