কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
অপ্রাপ্ত বয়সী অপরাধীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আইন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশটিতে অভিযুক্তদের দোররা মারা নিষিদ্ধ করার দুইদিন পর বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের জারি করা এক ডিক্রিকে উদ্ধৃত করে এই ঘোষণা এলো ।সৌদি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, এখন থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে আর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে না।
এদিকে শিশু অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের নীতিমালা মেনে নিয়ে রিয়াদ জানিয়েছে, নাবালকদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি এখন থেকে স্থগিত হচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। সে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। যারাই মুখ খুলেছে, তাদেরই আটকের ঘটনা ঘটে।
২০১৯ সালে একশ ৮৪ জনকে শিরোশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক রিপোর্টে জানিয়েছে। তাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সৌদি আরবের প্রধান আওয়াদ আল আওয়াদ বলেছেন, অপ্রাপ্তবয়স্কদের সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান থেকে সরে এসেছে সৌদি আরব। তার বদলে অপরাধের ভিত্তিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে থাকতে হতে পারে।
২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার কারণে সম্প্রতি দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন আনছে। তবে এখনো দেশটিতে বহু নাগরিক অধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীকে জেল খাটতে হচ্ছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে সৌদি আরবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার কর্মী কারাগারে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, আবদুল্লাহ আল-হামিদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়