জব কর্ণার ডেস্ক :
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের দখলে এখন বিশ্ব। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় সবকটি দেশ ও অঞ্চলে। প্রাণনাশের আশঙ্কায় গৃহবন্দি হচ্ছে মানুষ।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ৯০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে মরণঘাতী ভাইরাসটি উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও বিশ্বের মোট ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বুধবার সকাল পর্যন্ত একদিনে দুই হাজার ৩৮২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ৯০৭ জনে পৌঁছেছে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৬২৯ জন। যাদের মধ্যে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এত ভয়াবহতার পরও কিছু মানুষকে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। তাদের জন্য আতঙ্কটা বেশিই বটে। ফলে তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় যেখানে থাকতে হয়; সেখানে তো কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতেই হয়।
তো চলুন জেনে নিই; কর্মস্থলে করোনামুক্ত থাকার সহজ উপায়গুলো-
> একাধিকবার হাত ধোবেন : অফিসে থাকাকালীন একাধিকবার হাত ধুতে হবে। যতবার সম্ভব; ততবার হাত ধুতে হবে। কাজ করে খাওয়ার আগে হাত ধোবেন। দরজার হাতল ধরার পর হাত ধোবেন। বাড়ি যাওয়ার আগেও হাত ধুয়ে বের হবেন। যদি সাবান না থাকে, তাহলে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিন। তবে পানি ও সাবানে যতটা পরিষ্কার হয়, স্যানিটাইজারে তা হয় না।
> ডেস্ক পরিষ্কার রাখুন : অফিসে ডেস্কে বসে কাজ শুরু করার আগেই চারপাশ ভালোভাবে মুছে নিন। কি-বোর্ড, কম্পিউটার, মাউস, ফোন ও অন্যান্য জিনিস জীবাণুমুক্ত করে নিন। এছাড়াও যেসব জিনিসে আপনি হাত দেন, সেগুলোও মুছে নিন। ওয়াইপ বা ব্লিচিং দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মুছতে হবে।
> করমর্দন করবেন না : সাধারণত মানুষের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে এ ভাইরাস। তাই যতটা সম্ভব করমর্দন থেকে বিরত থাকবেন। কাজের জায়গায় অন্যদের দূর থেকেই অভিবাদন জানান। প্রয়োজনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন। অন্য কারো সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন।
> স্মার্টফোন পরিষ্কার : ফোন থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রবণতা থাকে। কেননা ফোন সবসময় ব্যবহার করা হয়। তাই সেটি পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। ফোনের স্ক্রিন ও ব্যাক কভার ভালোভাবে ওয়াইপস দিয়ে মুছে নিন। তবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেন পানি না ঢোকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে মুছতে হবে।
> মাস্ক পরুন : কর্মস্থলে মাস্ক ব্যবহার করুন। নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তায় সবাইকেই এ কাজটি করতে হবে। বিশেষত হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন। বিশেষ করে যারা সড়ক নিয়ন্ত্রণে (ট্রাফিক) কাজ করেন তাদের জন্য মাস্ক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
> পিপিই পরুন : স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে দায়িত্বরত চিকিৎসক বা সেবকরা পারসোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) পরুন। তা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য পিপিই’র ব্যবস্থা করা উচিত।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়