অামিনুল ইসলাম:
কালের আর্বতনে আজ হারিয়ে যাবে আরেকটি বছর। সারা দেশের ন্যায় কানাইঘাট উপজেলাবাসীও আজ রাতে রবণ করে নেবে ২০২০ সালকে। আর এ জনম থেকে বিদায় নিচ্ছে ২০১৯ সাল।
তবে ২০১৯ সালে কানাইঘাটবাসী প্রাপ্তির চেয়ে বেদনাই বেশী পেয়েছে। কানাইঘাটের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘ্যনতম ঘটনাও ঘটেছে এবছর।
পরকীয়া প্রেমিক নিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর গলা কেটে লাশ সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার জন্ম দেন এক নারী।
এবার অঘটন দিয়ে শুরু করা যাক ২০১৯ সালে কানাইঘাটের আলোচিত যত ঘটনা। বছরের শুরুতেই পহেলা জানুয়ারি মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কালিজুরী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুছব্বিরের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৫২) নামের এক মহিলা নিজ ঘরের মাটির দেয়ালের চাপায় পড়ে মৃত্যু হয়। পরেরদিন ২ জানুয়ারি বুধবার কানাইঘাট পৌরসভার বাইপাস সংলগ্ন সড়কে ট্রাক্টর উল্টে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র হালিম মিয়া (২০) নামের এক ট্রাক্টর চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২১ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় চোরাচালান আটক করতে গিয়ে বিজিবির গুলিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষিপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সুনাতনপুঞ্জি গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে সিরাজ উদ্দিন নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
এরপর ফেব্রুয়ারি মাস শান্ত ভাবে কাটলেও ১৪ মার্চ বুধবার উপজেলা ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বাখাইরপার গ্রামে ৯ মৌজার হাওর এলাকার এজমালী সম্পত্তির টাকার হিসাব নিকাশ নিয়ে গোয়ালজুর গ্রামের আব্দুল লতিফ গংদের মধ্যে ফখরচটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গংদের সংঘর্ষ হয়। এ সংর্ঘষে আব্দুল লতিফ পক্ষের আমির উদ্দিন (৫০) নামের একজন মারা যান। ২২এপ্রিল সোমবার কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের কাতার প্রবাসী হোসেন আহমদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সুলতানা বেগম পুকুর থেকে কলসি দিয়ে পানি ভরে এনে স্বামীর পরকিয়ার দুঃখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পহেলা মে বুধবার উপজেলার উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের সৈয়দ হোসেনের পুত্র হারুন রশিদ (২৫) মরা আমরী নামক স্থানে লোভানদীর তীব্র স্রোতে গাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হলেও আজ পর্যন্ত তার কোন খোজ মিলেনি। এ ঘটনার ৫ দিন যেতে না যেতেই কানাইঘাটের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনার জন্ম দেন হুসনা বেগম নামের এক নারী। তিনি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ তৃতীয় খন্ড নুরপুর গ্রামের প্রবাসী ফারুক আহমদের স্ত্রী।
৫ মে গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিক মস্তফাকে নিয়ে তিনি ঘুমন্ত স্বামী ফারুক আহমদকে গলা কেটে হত্যা করে পাশ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক আহমদের বাড়ীর সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেন। এর ৫দিন পরেই ১০ মে শুক্রবার কানাইঘাট উপজেলার বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ গাছবাড়ী নয়াগ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র ইসলাম উদ্দিন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের খাসের মাটি গ্রামের তুতা মিয়ার এক মাত্র মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিহত জেসমিনের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বলে চাউর করতে চেয়েছিল।
২২ মে বুধবার পাওনা টাকার জের ধরে উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের জুলাই মাঝরচটি গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র গাড়ি চালক আব্দুল মালিক, দিঘীরপাড় ইউপির লন্তিরমাটি গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র দেওয়ান আব্দুল বাছিতের চাকুর কোপে নিহত হয়। এরপর থেকে বেদনা দায়ক ঘটনাগুলো তুলনামুলক কমতে থাকে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের খুকুবাড়ি গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান একই ইউপির লক্ষপ্রসাদ পুরানগাও গ্রামের মুছব্বির আলীর পুত্র উসমান আলীর মটর-সাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউপি’র উমারগড় গ্রামের দরিদ্র ওলিউর রহমানকে জমি সংক্রান্ত জেরে তার আপন ভাই খলিলুর রহমান ও ভাতিজা মামুন মিলে হত্যা করে ঘরের খাটে শুয়ে রেখে দরজা তালা মেরে রাখে। ১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে এরির্পোট লেখা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ২০১৯ সালকে বিদায় জানাতে যাচ্ছে কানাইঘাটবাসী।
এরপর ফেব্রুয়ারি মাস শান্ত ভাবে কাটলেও ১৪ মার্চ বুধবার উপজেলা ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বাখাইরপার গ্রামে ৯ মৌজার হাওর এলাকার এজমালী সম্পত্তির টাকার হিসাব নিকাশ নিয়ে গোয়ালজুর গ্রামের আব্দুল লতিফ গংদের মধ্যে ফখরচটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গংদের সংঘর্ষ হয়। এ সংর্ঘষে আব্দুল লতিফ পক্ষের আমির উদ্দিন (৫০) নামের একজন মারা যান। ২২এপ্রিল সোমবার কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের কাতার প্রবাসী হোসেন আহমদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সুলতানা বেগম পুকুর থেকে কলসি দিয়ে পানি ভরে এনে স্বামীর পরকিয়ার দুঃখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পহেলা মে বুধবার উপজেলার উত্তর লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের সৈয়দ হোসেনের পুত্র হারুন রশিদ (২৫) মরা আমরী নামক স্থানে লোভানদীর তীব্র স্রোতে গাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হলেও আজ পর্যন্ত তার কোন খোজ মিলেনি। এ ঘটনার ৫ দিন যেতে না যেতেই কানাইঘাটের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনার জন্ম দেন হুসনা বেগম নামের এক নারী। তিনি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ তৃতীয় খন্ড নুরপুর গ্রামের প্রবাসী ফারুক আহমদের স্ত্রী।
৫ মে গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিক মস্তফাকে নিয়ে তিনি ঘুমন্ত স্বামী ফারুক আহমদকে গলা কেটে হত্যা করে পাশ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক আহমদের বাড়ীর সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেন। এর ৫দিন পরেই ১০ মে শুক্রবার কানাইঘাট উপজেলার বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ গাছবাড়ী নয়াগ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র ইসলাম উদ্দিন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের খাসের মাটি গ্রামের তুতা মিয়ার এক মাত্র মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিহত জেসমিনের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বলে চাউর করতে চেয়েছিল।
২২ মে বুধবার পাওনা টাকার জের ধরে উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের জুলাই মাঝরচটি গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র গাড়ি চালক আব্দুল মালিক, দিঘীরপাড় ইউপির লন্তিরমাটি গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র দেওয়ান আব্দুল বাছিতের চাকুর কোপে নিহত হয়। এরপর থেকে বেদনা দায়ক ঘটনাগুলো তুলনামুলক কমতে থাকে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের খুকুবাড়ি গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান একই ইউপির লক্ষপ্রসাদ পুরানগাও গ্রামের মুছব্বির আলীর পুত্র উসমান আলীর মটর-সাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউপি’র উমারগড় গ্রামের দরিদ্র ওলিউর রহমানকে জমি সংক্রান্ত জেরে তার আপন ভাই খলিলুর রহমান ও ভাতিজা মামুন মিলে হত্যা করে ঘরের খাটে শুয়ে রেখে দরজা তালা মেরে রাখে। ১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে এরির্পোট লেখা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ২০১৯ সালকে বিদায় জানাতে যাচ্ছে কানাইঘাটবাসী।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়