নিজস্ব প্রতিবেদক :
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের মূলাগুল কান্দলা নয়াবাজারে অবস্থিত কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩শতক জমির মালিকানাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় দু’পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার ১৩ শতক জমির কিছু অংশ কানাইঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় সাউদ গ্রামের শরীফ উদ্দিন কান্দলা গ্রামের বিলাল আহমদ নামে একজনের কাছে দলিল মূলে বিক্রি করার সংবাদ পেয়ে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল কুদ্দুছ সহ এলাকার আব্বাস, সুয়েব, আজাদুর রহমানবতা সহ কয়েকজন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যান।
তারা এ সময় সাব-রেজিষ্ট্রার কে বলেন, যে জায়গা অংশ দলিল রেজিস্ট্রারী করা হবে এ নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। পরে এই দলিল সাব-রেজিস্ট্রারী সম্পাদন করা হয়নি।
জানা যায়,বাজারে অবস্থিত কান্দলা মৌজার ২২৫ জেএল নং এর অন্তর্ভূক্ত সাবেক ১৬৪ ও বর্তমান ৬৯ দাগে অবস্থিত ১৩ শতক জমি খরিদা সূত্রে ১৪/১০/১৯৭০ইং সনে কান্দলা গ্রামের হাবিবুর রহমান কিনেন। তিনি মারা যাবার পর পূর্বের মূল দলিল গুম করে অপর পক্ষ ১৩ শতক জমি১৯৯০ইং সনে জালিয়াতির মাধ্যমে খরিদ করে নেয় বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
হবিবুর ছেলেআব্দুল হান্নান, আব্দুল কুদ্দুছ গংরা জানিয়েছেন, তাদের দখলীয় ১৩ শতক দোকান রকম ভিট জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সাউদগ্রামের শরীফ উদ্দিন ও কান্দলা গ্রামের সোলেমান তাদের নামে ভূয়াদলিলের মাধ্যমে রেকর্ড করে। জালিয়াতির মাধ্যমে ১৩ জমি ভূয়া দলিল মূলে খরিদের সংবাদ পেয়ে জমিরপ্রকৃত মালিক হান্নান গংরা ভূয়া দলিল ও রেকর্ডের বিরুদ্ধে সিলেটের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে শরীফ উদ্দিন ও সোলেমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছেএবং আদালতের নির্দেশে জায়গার উপর ১৪৪ ধারা বিদ্যমান রয়েছে।
এমতাবস্থায় শরীফ উদ্দিন গোপনে আদালতে বিচারধীন ১৩ শতক ভূমির মধ্যে কয়েকজনের কাছে ৩/৪ শতকের মতো জায়গা গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৫ নভেম্বর ২০১৯
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়