শরীর ফিট রাখতে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়ার
বিকল্প নেই। তবে তা মানতে পারেন ক’জন? টুকটাক অনিয়মও ক্রমে লাগাম ছাড়া হয়ে
ওঠছে। অনিয়ন্ত্রিত মেদ জমা হচ্ছে শরীরের আনাচে কানাচে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম ও
জীবনের স্ট্রেস থেকে যে মেদ শরীরে জমে তার অনেকটাই গিয়ে জড়ো হয় পেট ও
কোমরে। উরুও ভারী হতে শুরু করে।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলেন- কোমর আর উরুর মেদ
কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতেই হয়। তবে যদি অতটা সময় নাও পান, তা
হলেও কিছু কৌশল মেনে শরীরচর্চা করলেই সে মেদকে জব্দ করা যায়। তবে
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ভুল কোনো পদ্ধতি কিন্তু মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই সঠিক নিয়ম ও কায়দা জেনে তবেই করুন ব্যায়াম। তেমিই কয়েকটি ব্যায়াম
সম্পর্কে জেনে নিন-
স্কোয়াট
দুই
পায়ের মধ্যে মোটামুটি ১২ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে হাত দুটো মুঠো করুন। এবার হাফ
সিটিং পজিশনে আপ-ডাউন করুন। এটি করার সময় পায়ের পেশিতে এবং পেটে টান অনুভব
করবেন। ২০ বারে একটি সেট হয়। প্রথম প্রথম ৫টি করে সেট করুন। পরে তা বাড়িয়ে
১০টি সেটে নিয়ে যান। এই ব্যায়ামে শরীরের ক্যালোরি বেশি খরচ হয়।
সিঙ্গল লেগ সার্কল
সিঙ্গল লেগ সার্কল
দুই পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখে
মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার বাঁ পায়ের উপর ভর দিয়ে ডান পা মাটি থেকে
উপরে তুলুন। লক্ষ্য রাখুন আপনার পায়ের পাতা যেন সোজাসুজি পয়েন্ট আউট থাকে।
এরপর পায়ের পাতা ঘুরিয়ে একটা অদৃশ্য গোল তৈরি করুন। এই প্রক্রিয়াটি টানা দশ
বার রিপিট করুন। তারপর একই প্রক্রিয়াটি পা বদল করে করুন। এক একটা পায়ে মোট
১৫ বার করে করুন এই এক্সারসাইজ। এর ফলে আপনার উরুর মেদ গলবে সহজেই। মাটিতে
চিৎ হয়ে শুয়ে একটি পা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে হাওয়ায় তুলে পায়ের পাতা
ঘুরিয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম।
স্ট্যান্ডিং ফরওয়ার্ড বেন্ড
স্ট্যান্ডিং ফরওয়ার্ড বেন্ডদুই
পায়ের পাতা জোড়া করে পুরো শরীরটা ধীরে ধীরে নীচের দিকে ঝোঁকান। চেষ্টা
করুন যাতে আপনার দুই হাতের তালু মাটি স্পর্শ করে এবং আপনার মাথা যেন
হাঁটুকে ছুঁয়ে যায়। এই পজিশনটি কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে
শরীরের উপরের অংশ সোজা করে রিল্যাক্স করুন। মোট পাঁচ বার করে এক সেটে করুন
এক্সারসাইজ। হ্যামস্ট্রিংয়ের মাসল শক্তিশালী করে তুলতে জবাব নেই এই
এক্সারসাইজের।
পাইল স্কোয়াট
পাইল স্কোয়াট
দুই পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখে
মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাফ সিটিং পজিশনে বসুন। আপনার মেরুদণ্ড ও
শরীরের উপরের ভাগ যেন সোজা থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই পজিশনটি ২
সেকেন্ড ধরে রাখুন। এরপর আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। এই প্রক্রিয়াটি পুনরায়
করুন অন্তত ৩০ বার।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়