জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন যোগ দিতে এসে মিলেনিয়াম হিলটন হোটেলে
ওঠা ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে দেখা করতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট
এমানুয়েল মাখোঁ সেখানে যান। তাঁর সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ইরানি
প্রেসিডেন্ট রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে টেলিফোন
আলাপের চেষ্টা করা।
এ জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি তিনমুখী
টেলিফোন যোগাযোগ–সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু রুহানি নিজ কক্ষের
বাইরেই বের হননি। এভাবেই নষ্ট হয়ে যায় মাখোঁর পরিকল্পনা ও বহুল কাঙ্ক্ষিত
আলোচনা।
ট্রাম্প
ও রুহানির আলোচনায় বসানোর জন্য মাখোঁ নন, কয়েক মাস ধরে নিবিড় কূটনৈতিক
প্রচেষ্টা চালান ফরাসির কর্মকর্তারা। ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জাপানের শিনজো আবে, পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো
নেতারা।
ওই ঘটনার আগের দিন জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্পের
সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রুহানির প্রতি আহ্বান জানাতে দেখা যায় মাখোঁ ও
বরিসকে। মাখোঁ রুহানিকে বলেন, ‘বৈঠক ছাড়া আপনি যদি দেশটি ত্যাগ করেন, তাহলে
সেই সুযোগ আপনি হারাবেন।’
চার দফার একটি মৌখিক চুক্তি নিয়ে মাখোঁ
নিউইয়র্কে ওই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালান। মাখোঁ যখন রুহানির কক্ষে যান, তখন
তিনি শুয়ে ছিলেন। মাখোঁ ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানালে রুহানি
জবাব দেন, ‘এটা শুধু আমাদের নিয়ে খেলা করা। ট্রাম্পের পক্ষে থেকে কোনো
নিশ্চয়তা আসবে না।’
একজন ফরাসি কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাম্পের লাইন থেকে সাড়ে নয়টার ফোন আসে। সেটা মাখোঁ ধরেন। কিন্তু রুহানি তাঁর কক্ষ থেকে বের হননি।’
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়