অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিত কাউকে যেন কোনো কমিটিতে জায়গা দেয়া না হয় সে ব্যাপারে জেলা-উপজেলা নেতাদের সতর্ক করে চিঠি পাঠানো শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার থেকে তৃণমূলে এই চিঠি পাঠানো শুরু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজান যাওয়ার আগে তৃণমূলে সম্মেলন করে নতুন কমিটিতে বিতর্কিতদের না রাখার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়ে যান। ওইদিনই ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তৃণমূলে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
আব্দুর রহমান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এবার কাউন্সিলে অনুপ্রবেশকারীরা যেন
কমিটিতে জায়গা না পায় সেজন্য তৃণমূলে এরইমধ্যে চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলা, মহানগর, উপজেলা,
থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ সব কমিটির সম্মেলন করার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনার পরই মাঠে
নামে দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এরইমধ্যে
শনিবার ফেনী জেলা সম্মেলন করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূলের কমিটি করা শুরু করেছি। যারা দুঃসময়ে সময়ে দলের জন্য কাজ করেছে সেই ত্যাগীদেরই কমিটিতে আনা হবে। অন্য কারো আসার সুযোগ নেই।
জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ বাকি সাংগঠনিক জেলাগুলোর মধ্যে ১৫ নভেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা, ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, ১ ডিসেম্বর বরগুনা, ২ ডিসেম্বর পটুয়াখালী, ৩ ডিসেম্বর পিরোজপুর, ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা, ৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা ও বরিশাল জেলা, ৮ ডিসেম্বর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যগুলোর তারিখও খুব শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়