তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
বাজারে নতুন পণ্য উৎপাদন করা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই সবসময়ই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। গ্রাহকের কাছে পণ্যগুলো জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে। তারপরও অনেক সময় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণতে হয় লোকসান। গুগলেরও কিন্তু সব পণ্য সফল নয়। এই আয়োজনে থাকছে গুগলের বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু প্রজেক্টের কথা-
গুগল প্লাস
২০১১ সালে ফেসবুককে চ্যালেঞ্জ দিতে
গুগল-প্লাস উম্মোচন করে গুগল। কিন্তু এটি জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়। গুগল
প্লাসের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য উন্মুক্ত হয়ে
পড়ে। এর জের ধরে গুগলের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম গুগল প্লাস বন্ধ
করার সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছর এপ্রিল মাসেই গুগল প্লাস বন্ধ হয়ে যায়। খুব
কম সংখ্যক ব্যবহারকারীই গুগল প্লাস ব্যবহার করতেন। এছাড়া ৯০ শতাংশ গুগল
প্লাস ব্যবহারকারী এতে একবার ঢুকলে পাঁচ সেকেন্ডের বেশি থাকতেন না।
গুগল ইনবক্স
২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ইনবক্স অ্যাপটি
উন্মোচন করেছিল গুগল। আধুনিক ই-মেইল সেবা প্রদান করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
ইনবক্স অ্যাপে ম্যাসেজ থ্রেডিং, প্রয়োজনীয় বা প্রায়োরিটি বেসিসে মেইল
আলাদা করা, মেইলের উত্তর দেয়া বা সোয়াইপ জেসচারের মাধ্যমে একাধিক ই-মেইল
একই ইনবক্সে দেখানোর মতো ফিচারগুলো দেয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ২ এপ্রিল
অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে ফিচারগুলো জিমেইল অ্যাপেই যুক্ত করা
হয়েছে।
গুগল লাইভলি
২০০৮ সালের জুনে ‘ভার্চুয়াল লাইফ’ বলে খ্যাত
‘দ্য সেকেন্ড লাইফ’ নামক সোশ্যাল গেমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য ‘গুগল
লাইভলি’ সার্ভিস চালু করেছিল গুগল। কিন্তু এটি জনপ্রিয়তা লাভে সক্ষম হয়নি।
একই বছরেই নভেম্বরে সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
গুগল ইউআরএল শর্টেনার
ওয়েবসাইটের ঠিকানার ছোট ও সহজে শেয়ার করার
জন্য তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল গুগল ইউআরএল শর্টেনার। তবে চলতি বছর ৩০
মার্চ সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয়া হয়। গুগলের দাবি, ব্যবহারকারীরা আজকাল আর
ওয়েবসাইটে নয়, কনটেন্টকে আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড অথবা ওয়েব অ্যাপের
মাধ্যমে দেখেন। ওয়েবসাইটগুলো আর আগের মতো পেজে বিভক্ত নয়, বরং প্রতিটি
সাইটই ব্রাউজারে চলা একেকটি অ্যাপের মতো। সার্ভিসটি ব্যবহারে গ্রাহকের খুব
বেশি উপকার হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই সার্ভিসটি বন্ধ করা
হয়েছে।
গুগল অ্যালো
২০১৬ সালে গুগল অ্যালো উন্মোচন করা হয়েছিল।
এটি হচ্ছে গুগলের চ্যাটিং অ্যাপ। অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোর সঙ্গে
প্রতিযোগিতা করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হয়েছিল গুগল অ্যালোতে।
কিন্তু প্রথম দিকে কিছুটা জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও সময়ের ব্যবধানে এটি আড়ালে
পরে যায়। সেই সঙ্গে জনপ্রিয়তাও হারাতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ
হিসেবে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বছর
মাঝামাঝিতে অ্যাপটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ যায়।
ডেইলি বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়