Monday, October 28

সিলেটে মোরগের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি!

যেয়ে বাজারে মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজিতে। সেই একই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ালো যে জামা বানানোর কাপড়ের চেয়ে বোতামের দাম বেশি। মানুষ স্বাদ বাড়ানোর জন্য তরকারিতে পেঁয়াজ দেয় আজ সেই তরকারির চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি। হ্যা এমনটাই হচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। জানা গেছে, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই দেশের বাজারে ওই পণ্যের দামে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ২০-২৫ টাকা থেকে একলাফে ৮০-৯০ টাকা ধরে বিক্রি শুরু হয় পেঁয়াজ। দিনে দিনে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। পরে মিয়ানমার থেকে রপ্তানি শুরু হলে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে মোটেও এর প্রভাব পড়েনি।
বিশ্বনাথের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি দোকানে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকায়। কেউবা বিক্রি করছেন ১২৫ টাকায়। সদর ব্যতীত অন্যান্য বাজারের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই পেঁয়াজ রাখছেন না ব্যবসায়ীরা। যারা রাখছেন তারা আরও উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। ক্রেতা মো. ইকবাল আহমদ বলেন, বর্তমানে মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। বাজারে মোরগের চাইতে পেঁয়াজের দাম বেশি। ১৩০ টাকা হলে গড়ে ১টি পেঁয়াজের দামই ১১-১২টাকা। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য মসলার সাথে পেঁয়াজ কেনা কঠিন হয়েছে পড়েছে।
খুচরা ব্যসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ কিনতে আমাদের খরচ বেশি। তাছাড়া পঁচে নষ্টও হয় কিছু। তাই এমন দামে বিক্রি করছি আমরা।পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-জয়নাল’র পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আড়তদাররা দাম না ছাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কেজি প্রতি খরচসহ ১১৬-১১৭ টাকায় কিনতে হয় আমাদের। সামান্য মুনাফায় ১২০টাকায় বিক্রি করি আমরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, শুধু এখানে না, সারা দেশেই দাম বেড়েছে। সকল উপজেলায় মনিটরিং করা হচ্ছে। শ্রীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়