চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের গ্রেফতারের খবর নিয়ে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়। দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে বক্তব্য না পাওয়ায় এ ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়। পরে রোববার সকালে র্যাবের পাঠানো এক খুদে বার্তাতে তার গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও গণমাধ্যমকে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো ব্রিফিং দেয়া হয়নি।
রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউপির
কুঞ্জশ্রীপুরের চৌধুরী বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে
গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর
রহমান ভুইয়া রোববার সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে ডেইলি বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত
করেন।
এদিকে, আলকড়া ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল ডেইলি বাংলাদেশকে
জানান, গ্রামবাসীদের দেয়া তথ্যমতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই গ্রামটি ঘেরাও
করে রেখেছিল র্যাব-৭ এর একটি স্পেশাল দল। পরে প্রায় ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস
অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযান চলাকালে কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়নি র্যাব। পরে
ভোরে তাকে গ্রেফতার করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত
আর জানা যায়নি।
এলাকাবাসীদের ধারণা, কয়েকদিন ধরে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তবে তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য দেশের সব সীমান্তেও সতর্কতা জারি ছিল।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, সম্রাটের
গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব সরাসরি হ্যান্ডেল করছে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট
তথ্য নেই।
এ বিষয়ে কুমিল্লার এসপি সৈয়দ নুরুর ইসলামকে ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা মহানগর যুবলীগের এই প্রভাবশালী নেতা চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর হতেই গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা
পড়েন সম্রাটের ডানহাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক
সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ
দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে
সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে
আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগত। এতে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।
এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়