প্রাত্যহিক জীবনে প্রত্যেক মানুষকেই ছোট-বড় নানান রকমের অসুখ-বিসুখের সম্মুখীন হতে হয়। আর এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরে বসেই কষ্ট করেন।
কিন্তু জানেন কি, এই সমস্যাগুলোর সমাধান আছে আপনার ঘরেই। ছোটখাটো কিছু শারীরিক সমস্যার দারুণ কিছু ঘরোয়া উপসম লুকিয়ে আছে প্রকৃতির মধ্যেই। কিছু খাবার যা সহজেই অনেক রোগ মুক্তি দেয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-কলা
মাঝে মাঝেই যাদের মাথা ব্যথা করে তারা কলা খেতে পারেন। কলা মাথা ব্যথার তাৎক্ষণিক উপসম করে। এছাড়াও মানসিক চাপ অনুভূত হলে কলা খেলে মানসিক চাপ কিছুটা কমে।
দই
যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা দই খেলে উপকার পাবেন। নিয়মিত দই খেলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
কিসমিস
কিসমিস খেলে হাইপার টেনশনের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। ৬০টি কিসমিসে ১ গ্রাম ফাইবার ও ২১২ গ্রাম পটাশিয়াম আছে, যা হাইপার টেনশন কমিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সহায়তা করে।
আদা চা
যানবাহনে চড়ার কারণে কিংবা গর্ভধারণের কারণে অনেকেরই বমি বমি ভাব হয়। আদা চা বমি বমি ভাব দূর করতে সহায়তা করে। বমি ভাব অনুভূত হলেই আদা গুড়া বা কুচি করে চা বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। আদার রস খেলেও উপকার পাবেন।
মধু
কাশির জন্য মধুর বিকল্প নেই। যাদের কাশির সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ঘন মধু খেলে কাশি সেরে যায় সহজেই। বিশেষ করে অপরিশোধিত গাঢ় রং এর মধু হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বাঁধাকপি
যাদের আলসারের সমস্যা আছে তারা বাঁধাকপি খেলে উপকার পাবেন। বাঁধাকপিতে আছে সালফোরেফেন যা আলসার ও পেপটিক আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়। ফলে নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে আলসারের উপসম মিলে।
কমলা
কমলার রস দূর্বলতা কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। কমলার রসে আছে ফ্রুকটোজ যা সহজেই শরীরকে চাঙা করে দেয়।
রসুন
শরীরের যে কোনো ধরনের ইস্ট ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমিয়ে দিতে সহায়তা করে রসুন। যেকোনো ধরনের ব্যথা উপসমেও সহায়তা করে থাকে রসুন।
আলু
মাঝারী আকৃতির একটি আলুতে ৩৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে যা সেরোটোনিন লেভেল বৃদ্ধি করে টেনশন ও মাথা ব্যথা কমিয়ে দেয়।
খবর বিভাগঃ
স্বাস্থ্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়