নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র সুফিয়ান (৩১) হত্যা চেষ্টা মামলার ২ এফআইআর ভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার(১০অক্টোবর) ভোর রাতে থানার এসআই হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুফিয়ান হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী স্থানীয় বানীগ্রাম খালপাড় গ্রামের মৃত ছৈদ আলীর পুত্র এখলাছুর রহমান (৫৫) ও একই গ্রামের রফিক আহমদের পুত্র হারুন রশিদ (৪৮) কে তাদের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন।
ধৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে সিলেট জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুফিয়ানকে স্থানীয় গাছবাড়ী বাজারের রফিক আহমদের দোকানের সামনে থেকে মারধর করে ধরে নিয়ে যায় গ্রেফতারকৃত আসামী এখলাছুর রহমান সহ মামলার অন্যান্য আসামীগণ।
তারা সুফিয়ান কে মামলার ২নং আসামী বানীগ্রাম খালপাড় গ্রামের মৃত আজই মিয়ার পুত্র জয়নালের বসত বাড়ীতে আটক করে হাত পা রশি দিয়ে বেধে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ডান ও বাম পায়ের গোড়ালীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরী কুপিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে টেনে হেচড়ে ব্রাহ্মণ গ্রামের চৌ-রাস্তায় নিয়ে শরীরের একাধিক স্থানে কয়েকজন মিলে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে সুফিয়ান কে রাস্তায় ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা।
এ সময় সুফিয়ানের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের কেও মারধর করে মামলার আসামীরা।
সুফিয়ান কে তার পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার জখম গুরুতর হওয়ায় ডাক্তাররা সিওমেক হাসপাতালে পাঠান।
প্রায় দেড় মাস সেখানে সহ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন সুফিয়ান।
হামলাকারীদের উপর্যুপরী আঘাতে সুফিয়ানের দু’পায়ের গোড়ালীর রগ কেটে যাওয়ায় পঙ্গু অবস্থায় চলাফেরা করিতেছে সে।
সুফিয়ান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, হামলাকারীরা তাকে প্রাণের হত্যার জন্য চেষ্টা করে এবং তার কাছ থেকে মহিষ ব্যবসার সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়া যায়।
বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ীতে পঙ্গু অবস্থায় আছেন। আসামীরা তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে প্রকাশ্যে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে করে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করিতেছেন।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/ ১২ অক্টোবর ২০১৯
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়