বুয়েটের ট্র্যাডিশনই হচ্ছে উপরের (সিনিয়রদের) অর্ডার আসলে তা মানা ছাড়া
কোনো উপায় থাকে না বলে জানিয়েছেন আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক
উপসম্পাদক অমিত সাহা। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান
আনছারীর আদালত অমিত সাহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন দুপুর ২টা ৫২
মিনিটের দিকে আসামি অমিত সাহা ও হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে আদালতে উপস্থাপন করা
হয়। হাতে হাতকড়া পরিয়ে তাদের এজলাসের ডকে (আসামি রাখার নির্ধারিত স্থান)
রাখা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের সঙ্গে কথা
বলেন।এর এক ফাঁকে অমিত সাহার সঙ্গে কথা হয়। আসামি অমিত সাহা যুগান্তরকে
বলেন, বুয়েটের ট্র্যাডিশনই এটা যে, অর্ডার উপরের (সিনিয়র) থেকে আসে। সিনিয়র
ব্যাচ অর্ডার দিলে জুনিয়র ব্যাচ তা করতে বাধ্য। এটা করার ছাড়া তাদের আর
কোনো উপায় নেই। এদিকে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে এজলাসে বিচারক আসলে
আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খানসহ বেশ
কয়েকজন আইনজীবী আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা
বলেন, আসামি তোহা ২০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। যা ছিল টর্চার সেল। আর উপরের
নির্দেশে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায় তোহা। ৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই
হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমের ভেতর নিয়ে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে
ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও লাঠি-সোটা এবং রশি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড
মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়। অত্যন্ত মেধাবী একটি ছেলে
(আবরার) বুয়েটে গিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। কিন্তু তার সহপাঠীরাই তাকে
নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের
রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তোহার জামিন নাকচ
করে ওই দুই আসামির প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।এর আগে
বৃহস্পতিবার বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল
আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ওই দুই (অমিত ও
তোহা) আসামির নাম প্রকাশ করে। সূত্র: যুগান্তর।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়