দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ বহন করবে সরকার। তাই স্কুল-মাদরাসায় টিউশন ফি দিতে হবে না। প্রাথমিকভাবে আগামী বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। পরের বছর সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবে প্রতি বছর একটি শ্রেণি অবৈতনিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কার্যকর অব্যাহত রাখা হবে।
তবে উপবৃত্তি বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হবে। বর্তমানে একটি শ্রেণির ৪০ শতাংশ উপবৃত্তি পাচ্ছে।
বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক
স্তরের শিক্ষার্থীরা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক লেখাপড়া করছে। পাশাপাশি
শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তিও পাচ্ছে। বিপরীত দিকে মাধ্যমিক স্তরে টিউশন ফি দিয়ে
লেখাপড়া করতে হচ্ছে। যে পরিমাণ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে তাদের মধ্যে ১০
শতাংশ ছাত্র, বাকিরা ছাত্রী।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ শতাংশ ছাত্র এবং ৪৫ শতাংশ ছাত্রী উপবৃত্তি পাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক
স্তরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া
অবৈতনিক করতে চান। শিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন, ভিশন-২০৩০ এবং ২০৪১ অর্জনের
লক্ষ্যে ঝরেপড়া রোধ এবং মান অর্জনই অবৈতনিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য।
এজন্যই পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি
পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করতে চান তিনি (প্রধানমন্ত্রী)। এ লক্ষ্যেই প্রথম
ধাপ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া অবৈতনিক করার
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারের উল্লিখিত প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ৬ অক্টোবর বৈঠক ডাকা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন
সিনিয়র সচিব। ওই বৈঠকে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে টিউশন
ফি সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে
বিশেষ করে কোন পদ্ধতিতে এবং কীভাবে ষষ্ঠ শ্রেণির টিউশন ফি পরিশোধ করা যায়,
তা আলোচনা করা হবে।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
শিক্ষাঙ্গন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়