সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাক। দুর্নীতি, বেকারত্ব, দারিদ্রতা সহ সরকারের নানা অব্যবস্থাপণার প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন স্থানে গত মঙ্গলবার থেকে এই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
বুধবার বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত হয়েছেন বলে
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। এ নিয়ে দুদিনের বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন মোট
নয়জন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক লোক।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।
গত বছর ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহাদি ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম এমন তীব্র বিক্ষোভের মুখে তাকে পড়তে হলো।
বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা টিয়ার গ্রাস এমনকি গুলি ছোড়ে
বলেও অভিযোগ উঠেছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন নিহত এবং আরো শতাধিক মানুষ আহত
হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা বলছে, বুধবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে
পুলিশসহ চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ৭৮ জন আহত হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবারের
বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। ফলে দুদিনের বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা গিয়ে
দাঁড়িয়েছে নয়ে।
ওই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে পর রাজধানী বাগদাদ, হিল্লা, নাসিরিয়া ও আমারাসহ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ আরোপ করেছে ইরাক সরকার।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ
চলাকালীন সময়ে বাগদাদের সহড়গুলোতে যে কোনো ধরনের সমাবেশ ও সাধারণ যানবাহন
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসময় কেবল জরুরি কাজে নিয়োজিত যথা-হাসপাতালের
অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহকারী গাড়িগুলো চলাচল করতে পারবে বলে
জানা গেছে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়