ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুরের এক বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, যে বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি তার আত্মীয়ের। বাড়িটির মালিকের নাম মনিরুল ইসলাম।
চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি
অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে পালিয়ে যেতে সম্রাট তার আত্মীয়ের বাড়িতে
আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য দেশের
সব সীমান্তেও সতর্কতা জারি ছিল।
আলকড়া ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল ডেইলি বাংলাদেশকে জানান,
গ্রামবাসীদের দেয়া তথ্যমতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই গ্রামটি ঘেরাও করে
রেখেছিল র্যাব-৭ এর একটি স্পেশাল দল। পরে প্রায় ৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস
অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, অভিযান চলাকালে কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়নি র্যাব। পরে
ভোরে তাকে গ্রেফতার করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত
আর জানা যায়নি।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, সম্রাটের
গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব সরাসরি হ্যান্ডেল করছে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট
তথ্য নেই।
এ বিষয়ে কুমিল্লার এসপি সৈয়দ নুরুর ইসলামকে ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা মহানগর যুবলীগের এই প্রভাবশালী নেতা চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর হতেই গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা
পড়েন সম্রাটের ডানহাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক
সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ
দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে
সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে
আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগত। এতে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।
এরপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়