ফিচার ডেস্ক ::
ক্যাসিনো হচ্ছে জুয়া খেলার নির্দিষ্ট আসর। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ভিড় জমায় এসব ক্যাসিনোতে। এমন কিছু দেশ বা শহর আছে যেগুলো ক্যাসিনো ব্যবসার ওপর ভর করেই টিকে আছে। চলুন জেনে নেই এমন কয়েকটি শহর ও দেশের কথা-
লাস ভেগাস
এই শহরকে বলা হয় ‘পাপের শহর’। প্রতিদিন
বিশ্বের অসংখ্য তারকা আর ধনকুবেররা এখানে আসেন টাকা ওড়াতে! লাস ভেগাসের
ছোট-বড় সব হোটেলেই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা রয়েছে। এই শহরে আসা বেশিরভাগ পর্যটকই
শখের বশে হলেও ক্যাসিনোতে ঢুঁ মারেন। আর একবার ঢুকে পড়লে এখান থেকে বের
হওয়াটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়! ক্যাসিনোতে জোচ্চুরির অনেক খবর শোনা গেলেও লাস
ভেগাসে কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ বিভিন্ন গেমে প্রত্যেক বোর্ডের ওপরই
বসানো থাকে ২০-২৫ টা ক্যামেরা। কেউ দুই নম্বরি করে ধরা পড়লেই ২৫ বছরের জেল!
ম্যাকাও
মাত্র ত্রিশ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ ম্যাকাও।
এখানকার আয়ের প্রধান উৎস হলো পর্যটন আর জুয়া। গোটা দ্বীপটি জুড়েই রয়েছে
অসংখ্য ক্যাসিনো। কোনো বাড়তি কড়াকড়ি ছাড়াই ধনকুবেররা ডলারের ব্রিফকেস
দেখিয়ে ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারেন। নিজস্ব মুদ্রাব্যবস্থা, ভাষা এবং
সীমানা থাকলেও ম্যাকাও কিন্তু পুরোপুরি স্বাধীন দেশ নয়। চীনের ‘স্পেশাল
অ্যাডমিনিসট্রেটিভ রিজিওন’ বলা হয় একে। এখানকার বিলাসবহুল হোটেল আর শপিং
কমপ্লেক্সগুলোতেও রয়েছে ক্যাসিনো।
সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু হয় ২০০৫
সালে। এরপর গত এক যুগে দেশটি জুয়ার স্বর্গে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের
আকর্ষণের জন্যই মূলত ক্যাসিনো বাড়াচ্ছে সিঙ্গাপুর। তবে এসব
জায়গায় স্থানীয়দের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ করতে হয়।
মোনাকো
ক্যাসিনোর জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত মোনাকোর
মন্টে কার্লো। পৃথিবীর সব মিলিয়নিয়ার-বিলিয়নিয়াররা এখানে ভিড় জমান। তবে
সেখানকার জনগণের জন্য ক্যাসিনোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মন্টে কার্লো ক্যাসিনোয়
এক রাতেই লাখ লাখ ডলার উড়ে যায়। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত
কঠোর। কেউ খেলতে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে ক্যাসিনোর ডাটাবেসে রাখা হয়।
এমনকি পৃথিবীর বড় সব ক্যাসিনোর নিয়মিত জুয়াড়িদের তথ্যও এই ক্যাসিনোর
ডাটাবেসে রয়েছে।
নেপাল
হিমালয়ের দেশ নেপালেও বসে বড় বড় ক্যাসিনোর
আসর। নেপাল ক্যাসিনোস, ক্যাসিনো ইন নেপাল, ক্যাসিনো সিয়াংগ্রি, ক্যাসিনো
অ্যান্না, ক্যাসিনো এভারেস্ট ও ক্যাসিনো রয়েল এখানকার জনপ্রিয়
ক্যাসিনোগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাসিনোগুলোতে পোকার (জুজু খেলা),
বাক্কারাট (বাজি ধরে তাস খেলা), রুলেট, পন্টুন, ফ্লাশ, বিট, ডিলার,
ব্লাকজ্যাক এবং কার্ডস্লট মেশিনের খেলা চলে বেশি।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়