ফিচার ডেস্ক ::
সোজা আঙুলের ঘি না ওঠলে তো আঙুল বাঁকাতেই হবে। ঘি তোলার এমন পদ্ধতিটি অনেকটা জোরপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণকে বোঝায়। সবাই তো আর আঙুল বাঁকাতে জানেন না, যিনি প্রয়োগ করেন তিনিই জেতেন।
প্রবাদ যদি এমন হয়, তাহলে একটা মজার বিষয়ও
রয়েছে। আঙুলে আঙুলে কুস্তির খেলা। সে এক বিরাট ব্যাপার। যার আঙুল যত
শক্তিশালী সেই প্রতিপক্ষকে টেনে এনে উল্টে দেয়।
এই খেলার ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
তবে বহু প্রাচীন এই খেলা। ধারণা করা হয়, দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে আগেকার
যুগে এই খেলা হতো। বিবিসি জানাচ্ছে, জার্মানির ব্যাভেরিয়ায় এবার ৬০ তম আঙুল
কুস্তির আসর ছিল জমজমাট। বহু প্রতিযোগী নিজের আঙুলের শক্তি পরীক্ষায়
অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
পোশাকি নাম জার্মান ফিঙ্গার রেসলিং বা
ফিঙ্গার হ্যাকেন প্রতিযোগিতা। এটি অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড,
নরওয়ে, সুইডেনেও বিশেষ প্রচলিত খেলা।
দুই প্রতিযোগী তাদের সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের
কেবল একটি আঙ্গুল ব্যবহার করেন। একটা ছোট চামড়ার গিঁট দিয়ে দু’জনের দুটি
আঙুল বাঁধা থাকে। তারপর যার যত শক্তি সে অন্যকে নিজের দিকে টানতে থাকে।
শেষপর্যন্ত একজন অপরকে টেনে নিয়ে আসে। তখনই শেষ হয় খেলা। চরম উত্তেজনাময় এই
আঙুল কুস্তি দেখতে ভিড় করে বহু দর্শক।
ক্রীড়া তালিকায় আঙুল কুস্তিকে সেমি কমব্যাট
বিভাগে রাখা হয়েছে। কারণ এর সঙ্গে জড়িত দৈহিক শক্তি। প্রতিযোগিতায়
অংশগ্রহণকারীদের অনেক শারীরিক ধকল পোহাতে হয়। খেলতে গিয়ে আঙ্গুল কেটে
যাওয়া, ভেঙে যাওয়া, উল্টে পড়া খুব সাধারণ বিষয়।
নিয়মানুসারে প্রতিযোগীদের ওজন এবং বয়স
একইরকম বা কাছাকাছি হতে হবে। থাকবেন রেফারি। তারপর শুরু হবে আঙুলের লড়াই।
অন্যান্য কুস্তির মতো আঙুল কুস্তিগিরদের প্রচুর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যেমন
এক আঙ্গুল দিয়ে বল চেপে ধরা। এক আঙুল দিয়ে ভারী ওজন তোলা। শারীরিক শক্তির
পাশাপাশি এই খেলার কৌশল জানতে হবে। সেইসঙ্গে থাকতে হবে, যন্ত্রণা সয়ে
থাকার মতো শক্তি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আঙুল কুস্তির মাধ্যমে অনেক বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে স্থানীয় ঐতিহ্য।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়