ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে দাওয়াতে ঈমানি
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর
বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক
ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করার মতো
পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম
আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়েমামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলার বাদী ইব্রাহিম খলিল আরজিতে উল্লেখ করেছিলেন, আসামি একজন ভণ্ড।
তিনি নিজেকে মুফতি দাবি করলেও ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান নিয়ে সন্দেহ আছে।
ওয়াজ-মাহফিলে আসামি ভক্তদের নিয়ে নেচে গান গাওয়া শুরু করেন।
আরজি থেকে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় বাদী ইব্রাহিম খলিল চেম্বারে
এসে মেঘনা টিভি সিএম নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পান, ওয়াজে ইসলামকে
ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। ওয়াজ করছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী।
এরপরই ইব্রাহিম খলিল তাহেরীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতী মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর একটি ওয়াজের
অংশ বিশেষ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘কেউ কথা কইয়েন না, একটু চা খাব?
খাই একটু? আপনারা খাবেন? ঢেলে দেই? ঢেলে দেই? … ‘ভাই পরিবেশটা সুন্দর না?
কোনো হইচই আছে? আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি? কারোর বিরুদ্ধে বলতেছি? এরপরও
সকালে একদল লোক বলবে, তাহেরী বালা না।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ বলায়
সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয়ে নানা ট্রল ও
ভিডিও। এরপর কিছুদিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় এলেন
এই বক্তা।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়