রশিদ খান আফগানিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার, যিনি লেগ স্পিন
দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সবক্ষেত্রে সফল। তিনি এখন বিশ্ব ক্রিকেটের সবচাইতে
কম বয়সী টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এই বয়স নিয়েই সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমগুলোতে তাকে কম বেশি অনেক খোঁচা সহ্য করতে হয়। বিস্তর ট্রল রয়েছে
তাকে নিয়ে।
কিন্তু তাতে তো আর তার বয়স বেড়ে যাচ্ছে না। কাগজে-কলমে তার জন্মদিন
১৯৯৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরই থাকছে। এই বয়সে জাতীয় দলে নেতৃত্ব দেয়াটা
কতটা চাপের?
তিনি বলেন, এটা কোনো ব্যাপার না। চাপ থাকবেই। হ্যাঁ আমি অনেক কম বয়সী,
কিন্তু আমি উপভোগ করি, আমার বোলিং আর নিজেকে। আমি শুধু কঠোর পরিশ্রম করতে
চাই। মানুষ কি বলছে ভাবি না। আমি কখনো মানুষের জন্য খেলি না, ভাবি না। আমি
নিজের দলের জন্য ও দেশের জন্য খেলি। অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন, রশিদ খানের
বয়স কি আসলেই ২০।
রশিদ খানের কাছে সরাসরি এই সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি উত্তর দেন
ঠিক এভাবে, “ক্রিকেট মানেই চাপ। আপনি অধিনায়ক হন বা ২০ বছরের হন বা ৩০
বছরের হন সেটা কোনো ব্যাপার না।
আফগানিস্তান এখন দ্বিতীয় দল, যারা নিজেদের প্রথম তিন টেস্টের দুটি
ম্যাচে জয় পেয়েছে। রশিদ খান তৃতীয় টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ উইকেট
নিয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও।
রশিদ খান বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়ান। আইপিএলে তার জনপ্রিয়তা
তুঙ্গে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার
লিগসহ বিশ্বের নামি-দামি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে এমন একজন প্রভাব বিস্তার
লেগ স্পিনারের কদর বেশ উঁচুতে।
শুধু স্পিন বোলিং না, সময় মতো দ্রুত রান তুলে দেয়ার কাজ করেও দলের ওপর
চাপ কমাতে পারদর্শী রশিদ খান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫১ স্ট্রাইক রেটে
ব্যাট করেন রশিদ খান।
কোন লিগ সবচেয়ে প্রিয়? এমন প্রশ্নে মি. খান বলেন, বিভিন্ন লিগে
বিভিন্ন পরিবেশ, বিভিন্ন কাজ, যেখানেই যাই ক্রিকেট উপভোগ করার চেষ্টা করি।
আইপিএল সবচেয়ে কঠিন লিগ। কঠিন উইকেট। সেখানে প্রচুর দর্শক। আমি আইপিএল ও
বিগ ব্যাশ উপভোগ করি। বিগ ব্যাশে উইকেট স্পিনারদের জন্য কঠিন। সেখানে গিয়ে
খেলা খুব কঠিন।
রশিদ খান সাকিব আল হাসানের সতীর্থ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। বিবিসির
কাছে অকপটেই স্বীকার করে নিলেন, সাকিবই বাংলাদেশ দলে তার সবচেয়ে কাছের
বন্ধু। তবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভালো। সবার সাথেই
ভালো সম্পর্ক, তবে সাকিব সবচেয়ে কাছের। হায়দ্রাবাদে আমরা দুই বছর খেলেছি।
তবু তামিম আছে, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর, তাসকিন সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো।
তবে সাকিবের সঙ্গে বেশি ভালো।
আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশ পছন্দ রশিদ খানের। বোলিংয়ে শহীদ আফ্রিদি ও
অনীল কুম্বলে রশিদ খানের আইডল। ব্যাটিংয়ে শচীন টেন্ডুলকার। তবে এখনো
আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যেতে তার সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আফ্রিদি যেভাবে তার দেশের হয়ে খেলেছেন সেখানে যেতে অনেক
দেরি। আমার মাত্র শুরু। প্রায় ১৫-১৬ বছর দারুণ খেলেছেন আফ্রিদি, অনেক ভালো
পারফর্ম করেছেন।- বিবিসি বাংলা
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়