সরকার নির্ধারিত মূল্যে আগামীকাল থেকেই চামড়া কিনবেন ট্যানারি মালিকরা। তারা বলছেন, এই বাজারে চামড়ার প্রাথমিক সংরক্ষণকারীরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
তবে এর বিপরীতে আড়ত মালিকরা বলছেন, সরকারি মূল্যে চামড়া বিক্রি করলে সব খরচের হিসাব মিলিয়ে মুনাফা বেশি হবে না।
শনিবার থেকে আড়তদার ও পাইকারদের কাছ থেকে
ট্যানারি মালিকরা লবণযুক্ত চামড়া কিনবেন। তারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত
মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে যারা কম দামে চামড়া কিনে সংরক্ষণ করেছেন,
তারাই এখন সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।
এদিকে রফতানি করে দাম বেশি পাওয়ার আশায়
সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রির প্রতি অনেকটাই অনিহা আড়ত মালিকদের।
তাদের দাবি, ৫০০ টাকার নিচে চামড়া কেনেননি তারা। তাই লবণ, শ্রমিক, মজুরি ও
আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে খুব বেশি মুনাফার সুযোগ নেই।
আড়তদাররা জানান, ৯০ শতাংশ ট্যানারি মালিক
আগের বকেয়া এখনো পরিশোধ করেননি। এবার নগদ অর্থ ছাড়া ট্যানারির কাছে এই
মৌসুমের চামড়া বিক্রি হবে কি-না সে বিষয়ে শনিবার বৈঠক হবে।
এদিকে আড়তদার সমিতি জানান, গেল ৩০ বছরের হিসাবে ট্যানারি মালিকদের কাছে পোস্তার আড়তদারদেরই প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, বাজারের পরিস্থিতি
বিবেচনায় নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচলেও যারা কম দামে চামড়া কিনেছেন
তাদেরও অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ নেই।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়