আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সকালবেলা এক কাপ চা নিয়ে খবরের কাগজ পড়ার দৃশ্য এখন আর কাশ্মীরে দেখা যায় না। কারণ ভারতের কাশ্মীর উপত্যকার ১৬৯টি পত্রিকাই বন্ধ রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পরে সঙ্কটের মধ্যেও প্রকাশিত হচ্ছে মাত্র পাঁচটি পত্রিকা। তাও মাত্র কয়েকটা পাতা! আর সেগুলো হাতেগোনা কিছু মানুষের হাতে যাচ্ছে।
ইংরেজি ও উর্দু মিলিয়ে কাশ্মীরে প্রতিদিন
অন্তত ১৭৪টি খবরের কাগজ প্রকাশিত হতো। অধিকাংশ খবরের কাগজের দফতর ছিল
শ্রীনগরের ল্যামবার্ট লেনে। পুরো এলাকাটা এখনো নিস্তব্ধ। দিল্লিতে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের ঘোষণা, উপত্যকায় সংবাদমাধ্যমের ওপরে
নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়নি। যেকোনো খবর স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে তারা।
‘রাইজিং কাশ্মীর’ এই উপত্যকার জনপ্রিয়
পত্রিকাগুলোর একটি। সাধারণত ১২ পাতায় খবর ছাপায় তারা। এই কয়েকদিন চার পাতার
বেশি ছাপতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। কারণ সংবাদ সংস্থার যোগাযোগ এখনো ছিন্ন।
উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর দফতরে জমা হচ্ছে না।
সরকারি টিভি চ্যানেল থেকে খবর সংগ্রহ করেই
চলছে ‘রাইজিং কাশ্মীর’, ‘গ্রেটার কাশ্মীর’, ‘কাশ্মীর রিডার’, ‘কাশ্মীর
উজমা’ ও ‘তামিস-ই-ইরশাদ’।
তবে পত্রিকাগুলো আশা করছে খুব শিগগিরিই তারা
আবার আগের মতো চালু হবে। কারণ গত শনিবার জম্মু থেকে তুলে নেয়া হয়েছে ১৪৪
ধারা। টানা কয়েকদিন ধরে চলা কারফিউ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়