ফিচার ডেস্ক ::
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘হারমনি অব দ্য সিস’। এটিকে আপনি যদি ভাসমান মহানগরী বলেন, তাতেও ভুল হবে না। কী নেই এতে! একটি সুষ্ঠু নগরে যা যা প্রয়োজন, সবই আছে এখানে।
ভূমধ্যসাগর কিংবা ক্যারিবিয়ানের বুকে
সর্বোচ্চ বিনোদন দিতে এই জাহাজটিতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি কর্তৃপক্ষ। ১
হাজার একশ’ ৮৭ ফুট লম্বা এবং ২শ’ ৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৬ হাজার ৭৮০ জন
যাত্রী বহন করতে সক্ষম। ২০১৩ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় এই জাহাজটির। শেষ হয়
২০১৭ সালে। নির্মাণে কাজ করেছেন মোট ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। এটি নির্মাণ খাতে
ব্যয় হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড।
‘হারমনি অব দ্য সিস’-এর বিশেষত্ব হলো এর
যাত্রী ধারণক্ষমতা। এতে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। তারমধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২
হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যেকোনো জাহাজের থেকে অনেক বেশি। জাহাজটি
এতো বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান, সেজন্য তাদেরকে জিপিএস ব্যবহার
করতে হবে! জাহাজের সিগনেচার রুমটিকে বলা হয় রয়েল লফট স্যুট। রয়েল লফট
স্যুটের প্রথম তলাতে রয়েছে ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের একটি লিভিং স্পেস।
অন্যদিকে ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের ২য় তলাটি শহরের বড় কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও
অনেক বেশি বড়।
যেহেতু ‘হারমনি অব দ্য সিস’ একটি ভ্রমণ
জাহাজ সেহেতু এখানকার পর্যটকদের যেন অসুবিধা না হয় সেজন্য বিশ্বের ৮০টি
দেশের প্রায় ২ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ
কেবিনে যারা থাকবেন তাদের সেবায় থাকবে রয়েল জেনিস উপাধির খানসামা। এরা
অতিথিদের মালপত্র খুলতে ও গোছাতে অতিথিদের সহযোগিতা করবে।
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার নিয়ে অতিথি বা
যাত্রীদের কোনো চিন্তা নেই। ২০টি ডাইনিং অপশন ও বার রয়েছে ‘হারমনি অব দ্য
সিস’ জাহাজটিতে। খাবারের মধ্যে রয়েছে হটডগ থেকে শুরু করে সুশি পর্যন্ত।
জাহাজটিতে খোলা হয়েছে একটি বায়োনিক বার। যেখানে রোবটরা কাস্টমারদের চাহিদা
অনুযায়ী ককটেলও বানিয়ে দেবে।
জাহাজে রয়েছে খেলার জায়গা, কমেডি ও জ্যাজ
ক্লাব, বুটিক শপ, সি স্পা, ফিটনেস সেন্টার ও ইয়োথ জোন। আরো আছে ২৩টি
সুইমিংপুল, স্পের্টস জোন, সেন্ট্রাল পার্ক, কেনাকাটা ও শরীরচর্চার জন্য
রয়েছে সব ব্যবস্থা। জাহাজের মধ্যখানে অবস্থিত সেন্ট্রাল পার্কে সাড়ে ১০
হাজারের বেশি উদ্ভিদ, ৪৮টি আঙুরগাছ এবং ৫২টি বড় গাছ রয়েছে। এ যেন এক
সুপরিকল্পিত শহর, যা ভাসছেই!
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়