থেরেসা মের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের জটিল অংক বরিস জনসনকেই মেলাতে
হবে। সেজন্য তার হাতে সময় আছে তিন মাস।
দলে বিদ্রোহের মুখে থেরেসা মে সরে দাঁড়ানোর
ঘোষণা দেয়ায় নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোটের আয়োজন করে কনজারভেটিভ পার্টি।
সেই দৌড়ে শেষ পর্যন্ত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে সোমবার বিকেল
পর্যন্ত ভোট দেন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার নিবন্ধিত সমর্থক।
মঙ্গলবার দুপুরে সেই ভোটের ফলাফলে বিজয়ী হিসেবে বরিস জনসনের নাম ঘোষণা করা
হলে তার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়।
ব্রেক্সিট ব্যর্থতায় দলে বিদ্রোহের মুখে সরে
যেতে বাধ্য হওয়া থেরেসা মে আগামী বুধবার বিকেলে রানির সঙ্গে দেখা করে
আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগপত্র দেবেন। এর পর পরই তার উত্তরসূরি বাকিংহাম
প্যালেস ঘুরে এসে অসীন হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে।
নির্বাচিত হয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা
মে এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন বরিস
জনসন। তিনি বলেন, জেরেমির দারুণ কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো নিয়ে নিজেও
কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকেও
তাদের দেশের প্রতি অবদানের জন্য সম্মান জানান।
এরইমধ্যে বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন
থেরেসা মে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কনজারভেটিভদের নেতা নির্বাচিত
হওয়ায় বরিস জনসনকে অনেক অভিনন্দন। এখন আমাদের সবাইকে মিলে ব্রেক্সিট
ইস্যুতে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তা সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ হয়। আর জেরেমি
করবিনকে এসব প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে। আপনার সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন
আছে আমার।’
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়