নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি হৃদয়কে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমউদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি হৃদয়
যেভাবে ভিকটিমকে হত্যা করেছে, দেশবাসী তাতে স্তব্ধ হয়ে গেছে। ৪০০ থেকে ৫০০
জন আসামির মধ্যে এই আসামি হচ্ছেন মাস্টার মাইন্ড। রেনুর পাঁচ বছর বয়সী শিশু
তুবা এখনো জানে না তার মা গুজবের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন। বাচ্চাটা আজও তার
মায়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
আইনজীবী বলেন, এটা শুধু একটি গুজব নয়। একটি বড় ধরনের যড়যন্ত্র। হত্যার
পরে আসামিকে যেন কেউ চিনতে না পারে সে জন্য তিনি মাথার চুল কেটে ফেলেছেন।
এরপর বিচারক হৃদয়কে প্রশ্ন করে বলেন, আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না?
জবাবে হৃদয় বলেন, না, কোনো আইনজীবী নেই। বিচারক আবার বলেন, আপনি কেন খুন
করেছেন?
তখন হৃদয় বলেন, এক মহিলা বলেন, ওই নারী (রেনু) ছেলেধরা। সেই মহিলা দাবি করেন, তার কাছে রেনুর ছবিও আছে। এরপর ছেলেধরাকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও তাকে মারা হয়। এরপর নিচে নামিয়ে এনে আরো মারা হয়। এরপর আমিও মারতে শুরু করি। ওই মহিলার কথায় আমি মারছি।
তখন হৃদয় বলেন, এক মহিলা বলেন, ওই নারী (রেনু) ছেলেধরা। সেই মহিলা দাবি করেন, তার কাছে রেনুর ছবিও আছে। এরপর ছেলেধরাকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও তাকে মারা হয়। এরপর নিচে নামিয়ে এনে আরো মারা হয়। এরপর আমিও মারতে শুরু করি। ওই মহিলার কথায় আমি মারছি।
রেনুকে পিটিয়ে হত্যার যেসব ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে, সেখানে
তিন/চার তরুণকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিল
নীল টি-শার্ট পরিহিত হৃদয়। হৃদয়ই রেনুকে পিটিয়ে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল।
রেনু যখন বেধড়ক পিটুনি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে পড়ে ছিল, তখনও
থামেনি হৃদয়।
হাতে থাকা লাঠি দিয়ে রেনুর মুখে, বুকে, পেটে, হাতে ও পায়ে নির্মম ও
নৃশংসভাবে পিটিয়ে যাচ্ছিল সে। আশপাশের লোকজনের অনেকে ‘থামো থামো, আর মের
না, মরে গেছে’ এসব বলে হৃদয়কে থামানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু, পাশবিক রূপ
ধারণ করে সে তখনও রেনুকে প্রহার করে যাচ্ছিল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কুলের পাশেই তার একটি সবজির দোকান ছিল। তবে
পড়াশোনা না জানা হৃদয় উত্তর বাড্ডায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত। মাদক সেবন ও
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মারামারি-কাটাকাটি করাই ছিল হৃদয়ের কাজ।
হৃদয় এলাকায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত। মাদক সেবন, ইভটিজিং,
মারামারি-হানাহানি করে বেড়াত সে। মাসখানেক আগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় কথা
কাটাকাটির জের ধরে একজনকে ছুরিকাঘাতও করেছিল সে।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়