Sunday, April 21

শবে বরাতেও সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
শবে বরাতের রাতে ফেরেশতারা সারাবছর যা কিছু হবে সব ঘোষণা করতে থাকে। কোথায় যুদ্ধ হবে, কোথায় শান্তি থাকবে, কোথায় বৃষ্টি হবে, কোথায় শুকনো থাকবে, কতজন মারা যাবে, কতজন জন্মগ্রহণ করবে, কোন ব্যক্তির রিজিক কোথায় রয়েছে, কার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, কার বদনাম হবে – ফেরেশতারা সবকিছু এ রাতে এলান করে দেন।
এক ব্যক্তির নাম মৃতের খাতায় লেখা হয়েছে। ফেরেশতারা এলান করে দিয়েছে। এরপর ফেরেশতারা তার দিকে দৃষ্টি রাখতে থাকে। সে যখন বদমায়েশি করে তখন ফেরেশতারা বলে, দেখো! ওর নাম মৃতের খাতায় লেখা রয়েছে। আর সে কিনা নাফরমানি করতেছে!
আল্লাহর কাছে পাঁচটি দামী রাতের অন্যতম হলো ১৫ শাবানের রাত বা “লাইলাতিন নিছফি মিন শা’বান”। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।
মহানবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনী কালব গোত্রের বকরীর গায়ে যে পরিমাণ পশম থাকে সে পরিমান মানুষকে মুক্তি দান করেন। এখানে বনী কালব একটি উধাহারণ মাত্র, অর্থাৎ এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা অগনিত মানুষকে নাজাত দেবেন।
তবে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও এ রাতে সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই। তারা হলো-
১. মুশরিক, ২. মদ পানকারী, ৩. পিতা-মাতার অবাধ্যতাকারী, ৪. হাসাদ বা হিংসা পোষণকারী, ৫. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, ৬. যিনাকারী, ৭. অহংকারী
এ রাত নফল ইবাদাতের রাত। যতবেশি পারা যাবে নফল ইবাদাত করতে হবে। আর এ রাতের সর্বোত্তম ইবাদাত হলো, তাওবা করা ও দোয়া করা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়