কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন পাঁচ বাংলাদেশি যুবক। কিন্তু বছর না ঘুরতেই দেশে ফিরল তাদের প্রাণহীন দেহ। ৭ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাস খাদে পড়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন এই পাঁচজনও।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন, নোয়াখালীর গোলাম মোস্তফা, চাঁদপুরের আল আমিন ও সোহেল, কুমিল্লার রাজিব মুন্সি ও মহিন।
শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে আসার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় পাঁচ যুবকের মরদেহ। শনিবার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাদের।
গোলাম মোস্তফা নোয়াখালীর চাটখিলের উত্তর রামনারায়ণপুরের মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে। তার বড় ভাই হাফেজ নূর উদ্দিন বলেন, গত বছর জমি বিক্রি করে মোস্তফাকে মালয়েশিয়ায় পাঠাই। শনিবার সকালে মরদেহ বাড়িতে আনার পর সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
রাজিব মুন্সির বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। তার মামাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, রাজিবের মরদেহ নিয়ে শনিবার সকালে বাড়িতে আসি। বরুড়া খোশবাস কলেজ মাঠে জানাজা শেষে আসরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আল আমিনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অনেক লোন করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। সে ঋণ শোধ করার সামর্থ আমার নেই। আমি সরকারের কাছে সহায়তা ও ছেলের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সোহেলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, আট মাস আগে ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছি। আজ তার মরদেহ ফিরে পেলাম।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়