কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শোকার্ত স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কালের কণ্ঠের পাঠকদের কাছে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও হত্যাকাণ্ড বন্ধে করণীয়, গঠনমূলক, বাস্তবসম্মত পরামর্শ জানতে চেয়েছিলাম আমরা। কালের কণ্ঠের অসংখ্য পাঠক এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
কেউ বলেছেন, 'ধর্ষকদের জন্য ফাঁসি নয়, একটা চিড়িয়াখানা চাই।' কেউ আবার ফাঁসি-ই চেয়েছেন। কেউ বলেছেন, 'ফাঁসির দড়িই যেন হয় নুসরাতের হত্যাকারীর শেষ ঠিকানা।' কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, 'এই নরপশুটাকে জনসমক্ষে গায়ে আগুন দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারা হোক।'
আরএম রনি বলেছেন, 'ধর্ষকদের জন্য ফাঁসি নয়, একটা চিড়িয়াখানা চাই, যেখানে গিয়ে আগামী দিনের শিশুরা জানতে পারবে পৃথিবীতে থাকা মানুষের মতো দেখতে, সকল প্রাণী মানুষ নয় ...!'
আসাদুজ্জামান নয়ন বলেছেন, 'পবিত্র কোরআনে এর সুন্দর সমাধান দেওয়া আছে। প্রথম অপরাধের জন্য পাথর নিক্ষেপে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড। দ্বিতীয়ত্ যে যেভাবে হত্যা করবে তাকেও সে ভাবে মারতে হবে জনসম্মুখে। এই অপরাধ গুলোর শাস্তি যদি সকলের সামনে দেওয়া হয় তাহলে ৯০% এর প্রবণতা কমে আসবে।'
সুমি সুলতানা বলেছেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যেখানে স্বয়ং আপনিই নুসরাতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন, যেখানে আপনি নুসরাতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন। অথচ আপনার হস্তক্ষেপের পরেও...একদিকে নুসরাতের লাশ, অন্যদিকে তারই হত্যাকারী সিরাজ উদ দৌল্লার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন হলো, এই বেপারটা কেমন সার্কাসের মত হয়ে গেলো না? আমরা আশা করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফাঁসির দড়িই যেন হয় নুসরাতের হত্যাকারীর শেষ ঠিকানা।'
রানা চক্রবর্তী বলেছেন, 'যারা মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের মুক্তি চাচ্ছে তাদের আগে ধরা হোক, কারণ এরা ভবিষ্যতে আরও অসংখ্যজনকে পোড়াবে!'
মিজানুর রহমান বলেছেন, 'আমার ঘৃণা লাগে যখন দেখি মহিলা মাদ্রাসায় পুরুষ শিক্ষক? এরাওতো রক্তে মাংসের কেন এতো বিশ্বাস? চিড়িয়াখানার মতো বাঘের মুখে ছাগলের বাচ্চা তুলে দেয়ার শামিল? খোঁজ নিয়ে দেখুন এই মাদ্রাসায় আরো কত নুসরাত? মুখ খুলছে না? মানুষ জানলে বিয়ে হবে না, বেহেস্ত পাবে না?'
দিলরুবা আক্তার সানজানা বলেছেন, 'এ ধরনের নরপশুদের সঠিক বিচার হয় না, এজন্য এরা বারবার একই অপরাধ করছে এবং ভবিষ্যতে ও করবে। তাই এই নরপশুটাকে জনসমক্ষে গায়ে আগুন দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারা হোক, যাতে আর কেউ সাহস না পাই এধরনের অপরাধ করতে।'
সালমান অভি বলেছেন, 'সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। কিন্তু সরকার সঠিক বিচার করবেন না.কারন প্রায় সব কয়টিতেই সরকার দলীয় লোক জড়িত থাকলে ই আর বিচার হয় না। আইন আর ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যায় তারা। শুধু এতটুকুই বলতে পারি তনুর মত এ বোনের বিচারটাও হবে না। কারণ এ ঘটনার সাথে স্থানীয় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত।'
মোহাম্মাদ আলী খান বলেছেন, 'কেউ সত্য কথা বলতে সাহস করে না, হাজারো মিথ্যার মাঝে, সত্য হারিয়ে যায়, খারাপ লোকের পক্ষে প্রশাসন ও নেতারা থাকে, তবে আমার আললাহ সবকিছু দখতে পায়, এক দিন হিসাব নিবেন।'
মোহন পাটওয়ারী বলেছেন, 'আমার মতে... যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তাদের সবাই ওই মাদ্রাসার মাঠে সারা শরীরে কেরাসিন দিয়া আগুন দিয়ে এই হত্যার বিচার করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের নির্মম ঘটনা যেন না ঘটে।'
নওরোজ রিসালাত নওরোজ বলেছেন, 'প্রতিটি জেলায় যৌন নির্যাতন এবং হত্যা সম্পর্কিত আলাদা একটি একশন সেল গঠন করা প্রয়োজন। যেখানে থাকবে আলাদা র্যাপিড একশন ফোর্স এবং দ্রুত বিচারব্যবস্থা। তাদের আলাদা কয়েকটি হটলাইন থাকবে। যাতে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক ভুক্তভোগী হওয়ামাত্র ওইসব নম্বরে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার আহবান জানাতে পারে। ওই কমিটি হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। ওটা ইভটিজিং হতে শুরু যৌন নিগ্রহের সকল বিষয়ে যথোপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা সম্পূর্ণ বিনা ফিতে কাজ করবে।'
নার্গিস বানু বলেছেন, 'স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে উঠে আইনের যথাযথ ব্যবহার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে পারে এসব অপরাধ বন্ধের চাবিকাঠি।'
তাহমিনা ইসলাম বলেছেন, 'আইন হবে একটাই, ফাঁসি। এটা সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হবে। ইজ্জত নিয়ে হা-ডু- ডু খেলা নয়। মামলা ও রায় হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। চোখ, কান খোলা রেখে তামাশা দেখার কোন প্রয়োজন নাই।'
সূত্র: কালের কন্ঠ
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়