কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ কোটি টাকা জরিমানা
করেছে আদালত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩
এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে মামুনকে
কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের
যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিটিএল ও
গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যাল
সিস্টেম আধুনিকায়নের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন
তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন।
হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২
টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে
পাচার করেন।
ওই ঘটনায় ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার
ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরের বছর ২৯ এপ্রিল
মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটভুক্ত ১২ সাক্ষীর মধ্যে
বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে
২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াসউদ্দিন আল
মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর গিয়াসউদ্দিন আল
মামুনকে অপর এক অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ
জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা
হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে
বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়