কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
তৃনমুল থেকে খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহযোগিতায় শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুটি টুর্নামেন্টেরই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুতে সর্বোচ্চা গোল দাতা হয়েছেন পাবনার সংকর পাশা সাথিয়া প্রাইমারি বিদ্যালয়ের রিয়াদ হোসেন ও সর্বসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রংপুরের নীলফামারীর দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আনিসুর রহমান সূর্য। বঙ্গমাতায় সর্বোচ্চা গোল দাতা ও সর্বসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রংপুরের নীলফামারীর পাটগ্রাম ত্রিপুর গারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লিভা আক্তার।
দুপুরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের নবম আসরের ফাইনালে নীলফামারীর দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর বিকেলে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের অষ্টম আসরের ফাইনালে লালমনিরহাটের টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলকে তিন লাখ, রানার্সআপ দলকে দুই লাখ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে এক লাখ টাকা করে প্রাইজমানি ও ট্রফি দেয়া হয়। এসময় টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত সেরাদের হাতেও অর্থ ও ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
সারা দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ৬৫ হাজার ৭৯৫ টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন ছাত্র এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ৬৫ হাজার ৭০০ টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ জন ছাত্রী অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব ছাত্র-ছাত্রীর মেধা বিকাশ, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব ছাত্র-ছাত্রীর মেধা বিকাশ, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন,‘ফলে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলে সাফল্য অর্জন করছে। আমি প্রত্যাশা করি, আজকে যে শিশুরা এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করল তাদের থেকেই আগামীর দক্ষ ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়