Tuesday, March 19

কানাইঘাটে পুনরায় নির্বাচনের দাবি পলাশের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাতবাঁক ইউপির মটর সাইকেল মার্কার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী পলাশ তার বক্তব্যে বলেন, গত সোমবার দেশের দ্বিতীয় ধাপে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে ৮১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মোমিন চৌধুরীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান করেন। এমন কি কোন কোন কেন্দ্রে তারা ব্যালেট ছিনতাই করে নিয়ে যান। যার উপযুক্ত প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন। এসব ভোট কেন্দ্রে আইন শৃংখলা বাহিনী নৌকার সমর্থকদের কবল থেকে রক্ষা করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন কেন্দ্রে লাঠিচার্জ সহ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়।

বিশেষ করে সর্দারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, কাড়াবাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারাতৈর মাদ্রাসা, দূর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাছবাড়ী জামিউল উলূম মাদ্রাসা, সড়কের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর লক্ষীপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ব্যালেটে সীল মেরে বাক্স বোঝাই করে রাখে। এর মধ্যে সরদারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে মোমিন চৌধুরীর সমর্থকদের গুলিতে বড়দেশ উত্তর আমরপুর গ্রামে শফিকুর রহমান নামের তার এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয় এবং তার এজেন্ট একরামুল হকের চোখে মারাত্মক আঘাত করে ব্যালেট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় মোমিন চৌধুরীর সমর্থকরা।

এছাড়াও দূর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে তার কোন এজেন্ট না থাকায় টেবিল কাস্ট করা হয়। পৌরসভার মনসুরিয়া কামিলা মাদ্রাসা ও বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকরা লাঠি-সোটা নিয়ে কেন্দ্র দখল করে তার এজেন্ট ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৫ জন কে আহত করে। এ সময় তার সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদ করলে আইন শৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে রাবার বুলেটের আঘাতে মাজহারুল ইসলাম, বিধান চৌধুরী, বদরে আলম চৌধুরী বাবু সহ অনেকে গুলিবিদ্ধ ও লাঠিচার্জে অপন, বদরুল, রুবেল, রিজভী, দেলোয়ার গুরুতর আহত হন। সারা দিনের এসব তান্ডব লীলা শেষে রাত প্রায় ১০ টার দিকে উপজেলা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নৌকার প্রার্থী মােমিন চৌধুরী তার গ্রাম থেকে কয়েক হাজার লোকজন কে নিয়ে বেআইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেখানেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আইনশৃংখলা বাহিনী সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন যা কানাইঘাট মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছেন। এসব নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান ও ব্যালেট ছিনতাই ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশ।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১৯ মার্চ ২০১৯ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়