কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিয়ানীবাজারে স্কুলছাত্র অপহরণের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিলেট জেলার বিশেষ শাখার অ্যাডিশনাল এসপি এ কে এম মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, রিয়াদের আত্মীয়স্বজন প্রবাসে থাকেন। প্রবাসী পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নিতে পরিকল্পা অনুযায়ী আসামিরা রিয়াদকে অপহরণ করে।
মাহবুবুল আলম বলেন, ১০ মার্চ বিকেলে পৌর শহরের জামান প্লাজার সামনে থেকে রিয়াদকে পাঁচজন মিলে অপহরণ করে। প্রথমে তাকে এক আসামির ভাড়াটিয়া বাসায় বন্দি রাখে। পরে উপজেলার মোল্লাপুর ইউপির জলঢুপের একটি টিলায় নিয়ে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে রাখে। এসময় চিৎকার রোধে মুখে কাপড় গুজে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখায়। সোমবার সকালে রিয়াদের পরিবারের কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হলে পুলিশকে অবহিত করা হয়। থানার ওসি অবনী শংকর করের নেতৃত্বে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীচক্রের তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর অপহরণ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অপহরণের ঘটনায় পাঁচজন জড়িত। আটকরা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজারের কাকরদিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে আব্দুস শহীদ, একই উপজেলার নিদনপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ান আহমদ ও জকিগঞ্জের লামারগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে রমজান আলী। ভুক্তভোগী রিয়াদ উপজেলার দাসগ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়