Monday, March 18

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কানাইঘাটে শান্তিপূর্ণ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশ মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ২১ হাজার ২২ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়রম্যান পদে মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির চশমা প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী এমাদুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৮হাজার ৪৮৮ ভোট পেয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত সোমবার(১৮মার্চ০ কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। 

সকালে ভোটাররা কেন্দ্রে আসলেও দুপুরের দিকে বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্র ছিল ভোটার শূণ্য। 

১ লক্ষ ৭২ হাজার ২২৮ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে প্রায় শতকরা ৩৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। উপজেলার ৮১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি সেন্টারে নৌকা ও মটর সাইকেল মার্কার সমর্থকদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কোন প্রার্থী ভোটকেন্দ্র একেবারে দখল করতে পারেনি। 

মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসায় বিকেল ২টায় এবং একই সময়ে সর্দারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখল নিয়ে নৌকা ও মটর সাইকেল মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইন শৃংখলা বাহিনী শর্টগানের গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। সংঘর্ষে ১০ জনের মত আহত হন এবং একজন গুলিবিদ্ধ হন।

বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে নৌকা ও আনারস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আইনশৃংখলা বাহিনী এ দু’টি ভোট কেন্দ্রের বাহিরে বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় আইন শৃংখলা বাহিনীর ছোড়া ফাঁকা ছররা গুলিতে ২/৩ জন আহত হন। 

মনসুরিয়া কেন্দ্রে হামলায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আহত হন। ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়। 

এদিকে প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। উপজেলার রাজাগঞ্জ, ঝিঙ্গাবাড়ী, বানীগ্রাম ইউনিয়নে ভোট পড়েছে একেবারে কম। ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল কম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মুমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশের কর্মী সমর্থকরা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে মুখোমুখী থাকলেও প্রশাসনের সতর্ক অবস্থানের কারনে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 
তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশ অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মুমিন চৌধুরীর সমর্থকরা অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে তার সমর্থকদের উপর হামলা করে ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী পলাশের সমর্থকরা অনেক ভোট কেন্দ্রে নৌকা মার্কার সমর্থকদের উপর হামলা করে অনেক কে আহত করেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার তানিয়া সুলতানা জানান, ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সকল মহলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ, উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এ জন্য তিনি সর্বস্তরের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১৮ মার্চ ২০১৯ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়