Tuesday, March 19

কোরআন তেলাওয়াতে শুরু নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট অধিবেশন

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডে প্রথম পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়েছে। আর এ অধিবেশনটি শুরু হয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। 

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিয়ে স্পিকারকে সালাম জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। মসজিদে হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে পার্লামেন্টের স্পিকারকে সম্বোধন করে জেসিন্ডা বলেন, মিস্টার স্পিকার, আসসালামু আলাইকুম। পরে ইংরেজিতে বলেন, পিস বি আপন উইথ ইউ (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
পার্লামেন্টের ওই অধিবেশনে তিনি হতাহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে হামলাকারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাহসী নাইম রশিদের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
সংসদের অধিবেশনে জেসিন্ডা বলেন, পৈশাচিক এ সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের পরিবার বিচার পাবে। এছাড়াও তিনি বলেন, ঘৃণ্য ওই হামলাকারীর নাম কখনই মুখে নেবেন না তিনি।
জেসিন্ডা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হামলাকারী অনেক কিছু করতে চেয়েছিল; কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া সে কিছুই পায়নি। যে কারণে আপনি আমার মুখে কখনই তার নাম শুনতে পাবেন না। শুক্রবারের ওই হামলায় বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, কুয়েত, সোমালিয়া এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ৪৯ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গেল ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালীন দেশটির আল-নূর ও লিনউড মসজিদে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত ও অন্তত আরো ৫০ জন আহত হয়েছেন। 
ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামক এক অস্ট্রেলিয় উগ্র-ডানপন্থী যুবক এ হত্যাকাণ্ডটি চালায়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। 
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদ ও লিন উডের ইসলামিক সেন্টারের মসজিদে হামলার নেপথ্যে কাজ করেছিল ঘাতক ট্যারেন্টের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মনোভাব। তিনি মসজিদে হামলা চালানোর আগে অনলাইনে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি কথিত ইশতেহারে প্রকাশ করেছিলেন, যেটিতে তার মুসলিম বিদ্বেষি মনোভাব সুস্পষ্ট ভাবে লক্ষণীয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়