কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ফুরিয়ে গেলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাড়তি দুটি দিনও। এক মাসের সাহিত্য তীর্থ আগামীকাল থেকে পূর্ণ হয়ে যাবে শূণ্যতায়।
মেলার শেষ দিনে বাংলা একাডেমী ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ছিলো মন খারাপের আবহ। তিরিশ দিনে এই জায়গাটিকে আপন করে তোলা পাঠক, প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মীদের চোখেমুখে আজ ছিলো বিদায়ী বিষাদ।
মেলায় ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী অহিদুল ইসলাম বললেন, আজকে বই কিনতে আসিনি, এসেছি প্রিয় মেলাকে বিদায় জানাতে। বৃষ্টির কারণে শেষটা ভালো হলো না। তবে যতটুকু হয়েছে, তাতে আমি অখুশি নই। বেঁচে থাকলে পরের বইমেলাতেও এমন আনন্দ নিয়েই থাকবো।
ফাতেহীন নাহার বললেন, দেখতে দেখতে মেলা শেষ হয়ে গেলো। এখন মনে হচ্ছে একলা হয়ে যাচ্ছি। যেনো একটা বছর প্রিয় কাউকে ছেড়ে একলা থাকতে হবে। তবে এবার মেলা থেকে প্রচুর বই কিনেছি।
এদিকে, বইমেলার শেষ দুদিন প্রচুর বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। দুদিনে দেড়শটির মতো নতুন বইও প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমা প্রকাশনের বিক্রয় কর্মী রাহাত বলেন, মেলার যেকোন দিনের তুলনায় এই দুই দিন বেশি বিক্রি হয়েছে। এটা শুধু প্রথমাতে নয়, সব প্রকাশনী থেকেই বই কিনেছে পাঠকেরা।
অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর কর্মকর্তা রাসেল বলেন, শেষ তিনটি দিনের লোকসান উঠে গেছে। কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। পরের বছর আবার দেখা হবে। আশা করছি এবারের চেয়েও জমজমাট মেলা হবে আগামী বছর।
অনেক সূত্র জানাচ্ছে, এবারে বইমেলায় প্রায় পনের কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো লেনদেনের সঠিক অঙ্কটি প্রকাশ করেনি। সেটি জানতে হলে আরো দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, গত দশ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক মেলা হয়েছে। এবারের আয়োজন গুলোও ছিলো আকর্ষণীয়। ফলে বইয়ের বিক্রিও হয়েছে বেশি। আসছে বছরগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবে একাডেমী।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়