Thursday, February 21

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাছের বাজার

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
টোকিওর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সুকিজি বাজার। বড় বড় সামুদ্রিক মাছের জন্য বিখ্যাত এটি। ৮৩ বছরের পুরনো বাজারটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত থাকে সবসময়। ১৯৩৫ সালে এ বাজারের যাত্রা শুরু।
গত বছর ১৬ অক্টোবর বিশ্বের বৃহত্তম এ বাজারটি কৃত্রিম দ্বীপ তোয়োসুতে স্থানান্তরিত করেছে জাপান সরকার। সুকিজিকে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের জন্য অস্থায়ী পার্কিংয়ের স্থান করা হবে। তাই সরকারের এ সিদ্ধান্ত।
বাজারসংশ্লিষ্টদের ধারণা, সরিয়ে নেয়ার ফলে জনপ্রিয়তা হারাতে পারে ঐতিহ্যবাহী বাজারটি। বিদেশি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এটি। বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তে হতবাক অনেক পর্যটকও।
এ বাজারে নির্ভেজাল পণ্য বিক্রি হয়। তাই ভালো পণ্যের জন্য এখানে ভিড় করেন সবাই। এটি জাপানের ঐতিহ্যের অংশ। সুকিজি বাজার বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। এ বাজারটি গত বছর ৬ অক্টোবর বন্ধ হয়ে যায়। এদিনও সুকিজি মার্কেটে সর্বশেষ নিলামে ১৬২ কেজির টুনা মাছ ৩৭ হাজার ৮১৮ ডলারে বিক্রি হয়।
ওই দিন দুপুরে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এ বাজারের বিক্রিবাট্টার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপরই শত শত মাছ বিক্রেতা বহু বছরের পুরনো ব্যবসায় কেন্দ্রটি নতুন স্থানে স্থানান্তর প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু করেন।
প্রতিদিন এখানে কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ে। বাজারটি টুনা মাছের জন্য বিখ্যাত হলেও এখানে বিভিন্ন দামের চার শতাধিক সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যেত। শুঁটকি থেকে শুরু করে হিমায়িত, প্যাকেটজাত- সব ধরনের মাছই এখানে মেলে। ২০১০ সালের নিবন্ধন অনুযায়ী, বাজারটিতে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার কর্মী কাজ করছেন।
কিন্তু বাজারটি ক্রমেই অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ একে একটি নতুন জায়গায় সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। এছাড়া ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের জন্য এই অঞ্চল পুনর্নির্মাণ করা হবে।
এসব কারণেই টোকিও তোয়োসুতে বাজারটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর সুকিজিকে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের জন্য অস্থায়ী পার্কিং স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিশ্লেষকেরা জানান, দৈনিক প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলারের মাছ বিক্রি হতো সুকিজি বাজারে। এছাড়া দেশটির অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে বাজার কেন্দ্র করে টোকিও উপসাগরের পাড়ে গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ ও সুপার মার্কেটগুলো।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়