Sunday, February 3

নৌকা প্রতীক পেতে কানাইঘাট আ’লীগের ৬ প্রার্থী এখন ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যান পদের ৬ জন প্রার্থী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য লবিং করছেন বলে জানা যায়।
এর আগে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এককপ্রার্থী নির্ধারণের জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর কানাইঘাট উপজেলা আ’লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সিলেট জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সভায় একক ভাবে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ না করে বর্ধিত সভা শেষ হয়।
এরপর, গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ ও চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি ৬ জন প্রার্থীকে নিয়ে সিলেট জেলা পরিষদে বৈঠকে বসেন। সেখানেও প্রার্থীদের মধ্যে কোন ধরনের সমোঝতা না হয়ে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হন জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৬ জনের নামের তালিকা এবং তাদের সাংগঠনিক রিপোর্টসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয় দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করার জন্য।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৬ জন প্রার্থীর স্থলে জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ পলাশ, আলহাজ্ব আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানার নাম অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠান।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী চুড়ান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকরা নানা ধরনের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। পলাশ ও মুমিন, রানা সমর্থকদের দাবী জেলা নেতৃবৃন্দ তাদের নাম এক নম্বরে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। চুড়ান্ত ভাবে দলীয় প্রার্থী এখনো পর্যন্ত নির্ধারণ না হলেও ফেইসবুকে এনিয়ে নানা ধরনের পাল্লাপাল্টি মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীকে কাকে দেওয়া হয় এ নিয়ে মুখিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকায় অবস্থানরত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন দলে তরুন যুব, মহিলা সহ সর্বস্তরের ভোটারদের তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীসহ আম জনতার ভোট তার পক্ষে রয়েছে। সরকারি গোয়েন্দা রিপোর্ট বিবেচনা করে জনপ্রিয়তা ও ভোটে জয় লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিবেন বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন।
অপর দিকে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা মস্তাক আহমদ পলাশ ও মুমিন চৌধুরীর সমর্থকরা জানিয়েছেন সবকিছু বিবেচনা করে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব ও সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এ দু’জনের মধ্যে যে কেউ নৌকা প্রতীক পাবেন। তবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মুমিন চৌধুরী ও পলাশ সমর্থকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছেন। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে দোষত্রুটি তুলে ধরে নানা ধরনের নালিশ দিচ্ছেন। আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক কার হাতে তুলে দেন তা দেখতে আরো ২/১ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দ্বারস্থ হয়ে নানা বলয়ের মাধ্যমে নৌকা প্রতীক পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মুমিন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আ’লীগ নেতা শামীম আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তারেক হাসান চৌধুরী।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়