কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
অনেকেই ভেবে থাকেন, সকল খাবারই ফ্রিজে রাখলে সতেজ থাকবে! তা কিন্তু নয়, অবশ্যই ফ্রিজে কোন খাবারগুলো রাখা উচিত নয় তা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে শারীরিক নানা সমস্যা অজান্তেই কাবু করবে আপনাকে। তবে জেনে নিন কোন খাবারগুলো ফ্রিজে ঢুকাবেন না-
আলু- ফ্রিজে রাখলে একদিকে যেমন আলুর গন্ধ চলে যায়। তেমনি আলুর মধ্যে থাকা শর্করা দ্রুত বাড়তে থাকে। আলু ভাল করে রাখতে কাগজের প্যাকেটে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।
মধু- ফ্রিজে রাখলে মধুর মধ্যে একটা স্বচ্ছভাব আসে। যদি, মধু ভালভাবে রাখতে চান, তাহলে কাঁচের শিশিতে ঘরের স্বাভাবিক টেম্পারেচারে রাখুন। এতে মধু ফ্রেশও থাকে এবং অনেকদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক গুণ বজায় থাকে। মধুতে স্বচ্ছভাব আসলে বুঝতে হবে এর গুণ নষ্ট হয়ে গেছে।
তরমুজ- ফ্রিজে সাধারণত ফল ভাল থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডায় তরমুজে ‘চিল ইনজুরি’হয়। এর ফলে তরমুজের স্বাদ ও রঙ হারিয়ে ফেলে। ‘চিল ইনজুরি’তে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। আর এই অবস্থায় ওই তরমুজ খাওয়া পেটের জন্য ক্ষতিকর।
পাউরুটি- ঠান্ডায় থাকা পাউরুটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বের করলে খুব দ্রুত তা শুকোতে শুরু করে। এর ফলে পাউরুটি ঝুরঝুরে হয়ে যায়। তাই পাউরুটিকে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। তিন থেকে চার দিন ধরে যতটা পাউরুটি খাবেন সেটা বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।
কফি- ফ্রিজে কফি রাখলে তা খুব দ্রুত গন্ধ হারিয়ে ফেলে। এমনকি ফ্রিজে থাকা অন্য সব জিনেসের গন্ধ কফির মধ্যে ঢুকে যায়। অত্যাধিক ঠান্ডা কফিকে ড্যাম্প করে দেয়।
কলা- ফ্রিজে রাখলে কলা একদিকে যেমন তার পরিপক্কতা হারায়, সেইসঙ্গে স্বাভাবিক গুণাবলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ কলা নিজেই একটা ঠান্ডা ফল। সেইসঙ্গে বাড়তি ঠান্ডায় রাখলে কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম কনটেন্টও কমে যায়।
পেঁয়াজ- বেশি ঠান্ডায় পেঁয়াজ নরম হয়ে যায়। অন্য জিনিসের গন্ধও খুব দ্রুত পেঁয়াজ গ্রহণ করে। তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রাখাই ভাল। খুব দরকার হলে একদিনের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
অলিভ ওয়েল- ফ্রিজে রাখলেই অলিভ অয়েল জমে যায়। এর ফলে অলিভ ওয়েলের মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল রিয়্যাকশন হয়, যা মানুষের শরীরের পক্ষে হানিকর।
টমেটো- অত্যাধিক ঠান্ডায় টমেটোর স্বাভাবিক গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ‘ফাঙ্গাল ইনফেকশন’হয়। এরপর ওই টমেটো খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
রসুন- গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা অস্বাস্থ্যকর। রসুনের কোয়া অত্যাধিক ঠান্ডায় শুকাতে থাকে। এর ভিতরে যে রস থাকে তা শুকিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে, রসুনের পেস্ট ১০ থেকে ১৫ দিন ফ্রিজে স্টোর করা যায়।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়