কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নতুন মন্ত্রীসভা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়নি, দলকে আরও স্ট্রংগার (শক্তিশালী) ও স্মার্টার (দক্ষ) করতেই তাদের দায়িত্ব অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে এবারের মন্ত্রিসভায় অধিকাংশই নতুন মুখ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে চমকের কথা বলেছিলেন তা এবার দেখা গেল। ৪৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় এবার ২৭ জন আছেন, যারা প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন। এছাড়া চারজন আছেন যারা সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও এর আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সব মিলিয়ে ৩১ জন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ।
নতুন মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে মাঝপথে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে।
মন্ত্রিসভায় চমকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে আগেই মনে হয়েছিলো, এমন কিছু হবে। আমার লিডারের সঙ্গে কথা বলেই এমনটা মনে হয়েছিলো।
মন্ত্রিসভায় বাদ পড়াদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার মনে হয় এখানে হারানোর কিছু নেই। এটা দায়িত্বের পরিবর্তন, দায়িত্বের রূপান্তর।
‘সরকারের মধ্যে আমাদের দলটি হারিয়ে যেতে পারে। তাই যারা এখানে নেই তারা দলের দায়িত্বে আছেন। আমি বলবো এটা দায়িত্বের রূপান্তর মাত্র।’
তিনি বলেন, যারা মন্ত্রী আছেন তারা দলকে সেভাবে সাপোর্ট দিতে পারেন না। আমরা দলকে আরও স্ট্রংগার ও স্মার্ট করতে চাই।
জোটের শরিকদের মন্ত্রিপরিষদে না থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিত্ব না থাকলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐক্যজোট ভেঙে গেছে, এমন নয়।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচনে যাই পেয়েছেন সেটা নিয়ে থাকাই ভালো মনে করি।
১৪ দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৪ দল আমাদের সঙ্গে আছে। মন্ত্রী তো পাঁচ বছরের ব্যাপার। মাঝে মাঝে রিশাফল হবে, পারমেন্সের ভিত্তিতে।
এছাড়া নতুন মন্ত্রিসভা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল থাকা কাদের বলেন, নির্বাচনে ইশতেহারে অক্ষরে বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জ। এটি আমরা প্রথমেও করবো, ভবিষ্যতেও করবো। আমরা ইশতেহারের সব প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করবো।
অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের রেকর্ড গড়ার পর চমক লাগানো মন্ত্রিসভার সব সদস্য এদিন শপথ নেন। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। এছাড়া রয়েছেন মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী ৩ জন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের আলাদা আলাদাভাবে শপথবাক্য পাঠ করান। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে তারা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শফিউল আলম। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিচারপতিরা, শিক্ষক, কূটনীতিকরাসহ এক হাজারের মতো অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের আলাদা আলাদাভাবে শপথবাক্য পাঠ করান। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠান শেষে তারা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শফিউল আলম। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিচারপতিরা, শিক্ষক, কূটনীতিকরাসহ এক হাজারের মতো অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়