নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট চতুল বাজার থেকে স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার পরিবহন চালকরা গত কয়েকদিন থেকে কানাইঘাটের গাড়ির চালকদের মারধর এবং গাড়ি থেকে জোর পূর্বক ভাবে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের অবসান হয়েছে।
বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুই থানার অফিসার ইনচার্জ কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও পরিবহন চালক সমিতির নেতৃবৃন্দের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
প্রথমে সকাল ১১টায় কানাইঘাট ৫নং বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদে কানাইঘাটের নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা ও জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরিন করিম, কানাইঘাটের ভূমি কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং ও কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ ও জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মইনুল জাকির এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধি এবং পরিবহন চালকদের নিয়ে তারা বৈঠকে বসেন।
সভায় বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মুবশ্বির আলী চাচাই উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদে জৈন্তাপুরের জনপ্রতিনিধি ও ১৭ পরগনার নেতৃবৃন্দ ও পরিবহন চালকদের নিয়ে পৃথক বৈঠকে বসেন।
প্রশাসনের উদ্যোগে উভয় বৈঠকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কানাইঘাটের চতুল পশ্চিম বাজারের রাস্তার উপর গাড়ির স্ট্যান্ড থাকায় বাজারের যানজট সৃষ্টি হয় বিধায় বিকল্প স্থানে সকল গাড়ি রেখে স্ট্যান্ড এলাকায় ৬ টি গাড়ি রেখে যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে উভয় উপজেলার নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত কে মেনে নেন।
প্রসঙ্গত যে, স্ট্যান্ড স্থানান্তর কে কেন্দ্র করে কানাইঘাটের অটোরিকশা,সিএনজি, লেগুনা, ক্যারিক্যাব গাড়ির চালকরা যাত্রী বহন করে সিলেট ও দরবস্ত বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে জৈন্তাপুরের সিএনজি গাড়ির চালকরা দরবস্ত সহ বিভিন্ন স্থানে কানাইঘাটের গাড়ি আটক করে যাত্রীদের হেনস্তা করে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়া সহ ও চালকদের মারধরের ঘটনায় গত কয়েক দিন থেকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
শেষ পর্যন্ত দুই উপজেলার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে মিমাংসা হল।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ইং
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়