কানাইঘাট নিউজ নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর সেদেশের
অভ্যন্তরে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সেনা প্রত্যাহারের
সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাথিস
পদত্যাগ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বুধবার এক
টুইটবার্তায় সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে জানিয়ে
ছিলেন। ট্রাম্পের এ ঘোষণার পেছনে অবশ্যই কিছু কারণ রয়েছে। যেমন, ট্রাম্পের
পররাষ্ট্র নীতিতে নিরাপত্তা বাণিজ্যের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। পশ্চিম
এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান থেকে বোঝা যায় এসবের মাধ্যমে তাদের আর্থিক
কোনো লাভ নেই এবং মানব শক্তি ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে
করেন, অযথা সেনা মোতায়েন করে অর্থের অপচয় না করে বরং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে
মিত্রদের ওপর নির্ভর করে থাকাটাই ভাল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান আমেরিকা যদি
কোনো দেশকে নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলে ওই দেশকে অবশ্যই এর
জন্য মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
পর দায়েশ বিরোধী কথিত আন্তর্জাতিক জোটে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিনিধি রবার্ট ম্যাক গোর্ক বলেছেন, আগামী
ফেব্রুয়ারিতে তিনিও পদত্যাগ করবেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে
জানিয়েছেন, সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করবেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের পরই দায়েশ
বিরোধী জোটে মার্কিন প্রতিনিধির পদত্যাগের হুমকি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যেতে পারে।
পদত্যাগী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগামী ফেব্রুয়ারিতে পেন্টাগন ত্যাগ করবেন।
নির্বাচনী প্রচারকালেও প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প বলেছিলেন, বিনামূল্যে বিশ্বের দেশগুলোকে নিরাপত্তা দেয়ার
প্রতিশ্রুতি কমিয়ে আনা উচিত এবং কাউকে নিরাপত্তা দেয়ার বিনিময়ে অর্জিত অর্থ
আমেরিকার অভ্যন্তরে কাজে লাগানো উচিত। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, "কোনো কিছু
অর্জন ছাড়াই কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে আমেরিকা কেন মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম
এশিয়ায় পুলিশি ভূমিকা পালন করতে যাবে? তাই সময় এসেছে এখন অন্য দেশ নিজেদের
রক্ষায় নিজেরাই পদক্ষেপ নিক এবং ব্যয়ভার গ্রহণ করুক।"
সিরিয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি
করেছেন, দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অর্থ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের
শত্রু অর্থাৎ রাশিয়া ও ইরানের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়া। অথচ তিনি
হয়তো ভুলে গেছেন নির্বাচনের সময় তিনি স্বীকার করেছিলেন, ওমাবা প্রশাসন
দায়েশ সৃষ্টি করেছিল এবং দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অজুহাতে পশ্চিম এশিয়ায়
মার্কিন সেনা উপস্থিতি ওই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের স্বার্থ রক্ষা করবে। অথচ
বাস্তবতা হচ্ছে, সিরিয়ায় বেআইনি মার্কিন সেনা উপস্থিতির পেছনে দামেস্ক ও
নিরাপত্তা পরিষদের কোনো অনুমতি নেই। সিরিয়া সরকার বহুবার সেদেশে মোতায়েন
সেনা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়