কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। নিয়োগ পাওয়ার সাত সপ্তাহ পরই নিজ বাড়িতে এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
রাজাপক্ষের ছেলে নামাল বিবিসিকে বলেন, জাতীয় স্থিতিশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার বাবা সরে দাঁড়িয়েছেন।
এর মধ্য দিয়ে প্রায় দুই মাস ধরে দেশটিতে চলা রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বরখাস্ত করে মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। আগামী ৫ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন হবে জানিয়ে গত ৯ নভেম্বর পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিসহ (ইউএনপি) আরও দুটি দল প্রেসিডেন্টের এসব সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট সিরিসেনার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ও নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী অনুসারে, পার্লামেন্টে ভোটাভুটি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট বরখাস্ত করতে পারবেন না। আর পার্লামেন্টে ভোট হলে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো আপাতদৃষ্টিতে কঠিন। কারণ সিরিসেনার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) ও রাজাপক্ষের দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির মিলিত আসনের সংখ্যা ৯৫ এবং বিক্রমাসিংহের দল ইউএনপির আসনসংখ্যা ১০৬।
দেশটির রাজনৈতিক সূত্র বলেছে, পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে কাল রোববার আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
ইউএনপির মুখপাত্র হরিন ফার্নান্দো বিবিসিকে বলেন, 'রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠ করাবেন প্রেসিডেন্ট। এর মধ্য দিয়ে ৫০ দিন ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটবে। একই সঙ্গে দেশ ও অর্থনীতি যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল, তাও কাটিয়ে উঠবে।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়