কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে আছে মাঝবয়সী মহিলা। হার্টে ব্লকেজ নিয়ে ভর্তি তিনি। ৩২ কিলোমিটার দূরে চেয়ারে বসে চিকিৎসক। সামনে খোলা একাধিক স্ক্রিন আর ওয়েবক্যাম। সেখান থেকেই হল অপারেশন। ডাক্তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করলেন ওই ৩২ কিমি দূর থেকেই। বিশ্বে প্রথমবার টেলিরোবোটিক করোনারি ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে হল সফল অস্ত্রোপচার।
গুজরাতের গান্ধীনগরে রয়েছে স্বামীনারায়ণ মন্দির, অক্ষরধাম। সেই মন্দিরের মধ্যে বসেই এই মিরাকল ঘটিয়েছেন চিকিৎসক ড. তেজস পটেল।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে রোবোটিক আর্মের সাহায্যে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্সের টিম। কোনও ভুল-ত্রুটি হলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয় ওই মহিলার। দিনকয়েক আগে একটি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও করা হয় ব্লকেজ সরাতে। বুধবার আরও একটি ব্লাড ভেসেলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার প্রয়োজন পড়ে। সেটাই করা হয় টেলিরোবোটিক্সের মাধ্যমে। এই অস্ত্রোপচারের সাফল্য কার্যত চিকিৎসার নতুন দিক খুলে দিল। এইভাবে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা মানুষের শরীরেও অস্ত্রোপচার হবে সহজ। দূরের হাসপাতালে হয়ত নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না আগামী দিনে।
এদিন ৩২ কিলোমিটার দূর থেকে এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকদের আশা আগামী দিনে দেশের যে কোনও প্রান্তে এমনকি বিশ্বের যে কোনও অংশেও হয়ত এই ধরনের অস্ত্রোপচার সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তিতে সাহায্য করেছে আমেরিকার সংস্থা ‘কোরিনডাস।’
এখনও পর্যন্ত ৩০০ রোবোটিক সার্জারি করেছেন ড. পটেল। প্রায় দু’বছরের প্রস্তুতির পর এরকম একটি অস্ত্রোপচার করলেন তিনি। এর আগে পশুর উপর এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডামি রোগী তৈরি করেও হয়েছে অপারেশন। তবে এদিনের সাফল্যে নতুন আত্মবিশ্বাস পেলেন ড. পটেল তথা ভারতের চিকিৎসক মহল।
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়