Friday, November 16

কানাইঘাটে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ৩য় খন্ড গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এক ওমান প্রবাসী কর্তৃক স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ৩ সন্তানের জননী পিয়ারা বেগম (৩০) কে বর্তমানে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, বাউরভাগ ৩য় খন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র ওমান প্রবাসী শামীম আহমদ (৩৫) প্রবাস থেকে যৌতুক বাবৎ স্ত্রী পিয়ারা বেগমের কাছে বার বার মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। পিয়ারা বেগমের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তারা যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শামীম আহমদের মা পিয়ারা বেগমের শ্বাশুড়ী সুরতুন নেছা ও সুরতুন নেছার ভাই ফয়জুল হক পিয়ারা বেগম কে বার বার নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে পিয়ারা বেগমের লালন-পালন করা নিজের একটি ষাড় গরু যৌতুক বাবৎ জোর পূর্বক ভাবে ধরে নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ফয়জুল হক। 

গত বুধবার রাতে পিয়ারা বেগমের স্বামী ওমান থেকে দেশে ফিরে এসে স্ত্রী পিয়ারা বেগম কে কেন তার পিত্রালয় থেকে ৫০ হাজার টাকার যৌতুক এনে না দেওয়া হল বলে কয়েক দফা প্রচন্ড মারধর করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শামীম আহমদ পুণরায় স্ত্রী পিয়ারা বেগম কে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে আহত করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে। পিয়ারা বেগম আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পিয়ারা বেগমের ভাই বাউরভাগ ১ম খন্ড গ্রামের আলী আহমদের পুত্র বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে তার বোনের উপর নির্যাতনকারী স্বামী শামীম আহমদ তার মা সুরতুন নেছা ও মামা ফয়জুল হক কে আসামী করে গত বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল ওদুদ আজ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিয়ারা বেগমের উপর নির্যাতনের আলামত স্বরূপ একটি রোল ও কয়েকটি সুই শামীম আহমদের বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেন এবং ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করেন।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১৬ নভেম্বর ২০১৮

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়