নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট থানা পুলিশ গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ বিএনপি কর্মী এবং ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী সহ ১০ বোতল অফিসার্স চয়েস মদ সহ ৪ জন কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হল উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউপির মইনা গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র কুয়েত প্রবাসী ইউনিয়ন বিএনপির সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়নের জৈন্তিপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র যুবদল নেতা সাহেদ আহমদ, ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গোসাইনপুর গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র শরীফ উদ্দিন উরফে আকাশ ও লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সোনার খেওড় গ্রামের নুরুল হকের পুত্র ১০ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েস মদ সহ আটক মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল খালিক। শুক্রবার রাতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে বলে থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি কর্মী ফখরুল ইসলাম ও সাহেদ আহমদ কে সম্প্রতি থানায় পুলিশ কর্তৃক বাদী হয়ে দায়েরকৃত একটি নাশকতা মূলক মামলার এজাহার বহির্ভূত আসামী উল্লেখ করে এবং মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন গত কয়েক দিন থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আটক করতে ব্যাপক অভিযান শুরু করায় নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে জীবন যাপন করছেন। তাদের দাবী সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে গত বৃহস্পতিবার যুবদল নেতা পাশা ও শুক্রবার রাতে কুয়েত প্রবাসী বিএনপি কর্মী ফখরুল ইসলাম ও যুবদল কর্মী সাহেদ কে আটক করে সাজানো মিথ্যা মামলার আসামী দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব হয়রানী বন্ধ করার জন্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ সিলেটের উর্ধ্বতন আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তবে থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়া জানিয়েছেন পুলিশ অযথা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে না। যারা নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৮সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়