কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদিস এবং আজাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি আল্লামা হোসাইন আহমদ বারকোটি আর নেই।
তিনি শনিবার (১১ আগস্ট) রাত ১১.৪৫ মিনিটে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বারকোট দিলাল খাঁ গ্রামের নিজ বাড়িতে (৯৮) বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নাহলিল্লাহি........রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ৫ ছেলে, ২ মেয়ে, স্ত্রী ও দেশ বিদেশে হাজারো ছাত্র এবং অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা হোসাইন আহমদ বারকোটির মৃত্যুতে সর্বমহলে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মরহুমের জানাজার নামাজ রবিবার বাদ আছর বারকোট হুসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মরহুমের জানাজায় শোকার্ত লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে। এসময় মাদ্রাসা মাঠ, মাদ্রাসা ভবনের ছাদ, রাস্তাসহ পুরো এলাকা মানুষের সমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জানাজায় রাজনৈতিক, বিভিন্ন মাদ্রাসার মুহতামিম, শায়খুল হাদীস, মুফতি, বিভিন্ন মাদ্রাসার হাজারো ছাত্র-শিক্ষক, বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের জামাতা আযদ উদ্দিন নোমান। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শায়খুল হাদীস হুসাইন আহমদ বারকোটি ১৯২৪ সালে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বারকোট গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা আব্দুল গফুর ও মাতা ফয়জুন নেছা। মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকোটি পড়ালেখা শেষে তিনি রাণাপিং মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউলগ্রাম মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর মাদ্রাসা, সিলেট শহরের দরগাহ মাদ্রাসা, নিজ গ্রামের বারকোট মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি বারকোট মাদ্রাসার মুহতামিমের দায়িত্ব ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউলগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম ও ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। শায়খুল হাদীস হোসাইন আহমদ বারকোটী দেউলগ্রাম মাদ্রাসা, ঢাকাদক্ষিণ মাদ্রাসা, সৈয়দপুর মাদ্রাসা, রামধা মাদ্রাসা ও মেওয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস হিসেবে শিক্ষাদান করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি মাওলানা হোসাইন আহমদ বারকোটি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে জড়িত। ১৯৭১ সালে মাওলানা বশির আহমদ শায়খে বাঘা (রঃ) এর মৃত্যুর পর থেকে অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহ-সভাপতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়