Sunday, July 8

কীভাবে বুঝবেন টাইফয়েড জ্বর?

ডেস্ক : দূষিত পানি ও খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে সালমোনেলাটাইফি নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে টাইফয়েড রোগটি ঘটায়। একমাত্র খাবার পানি ও খাদ্যদ্রব্য ছাড়া এই জীবাণু অন্য কোনো মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পায় না। জীবাণুটি এতটা ভয়াবহ যে টাইফয়েডের রোগী ভালো হয়ে যাওয়ার পরও রোগীর পিত্তথলিতে এ জীবাণু প্রায় এক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং রোগীর মলের সঙ্গে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। পানি ফুটিয়ে না খেলে কিংবা হোটেল-রেঁস্তোরা থেকে দূষিত খাবার খেলে বা দূষিত পানি খেলে অথবা রাস্তার পাশ থেকে ফুচকা বা চটপটি খেলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ: সাধারনত টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে তিন সপ্তাহ পর রোগের লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ প্রকাশ পেতে শুরু করে। টাইফয়েডে আক্রান্ত শিশুরা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। নিম্নে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ বর্ণনা করা হলঃ # জ্বরই হলো এ রোগের প্রধান লক্ষণ। প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পেতে থাকে। জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। # জ্বরের সাথে গলা ব্যথা, পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি অনুভূত হয়। # রোগীর শরীরে দুর্বলতা ও অবসাদবোধ কাজ করবে। বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। # পেটের ওপরের দিকে বা পিঠে লালচে বা গোলাপি দাগ হতে পারে। # ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। চিকিৎসা: এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক শুরুর পর জ্বর কমতে পাঁচদিনও লেগে যেতে পারে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও যারা দ্রুত চিকিৎসা করেন না তাদের সপ্তাহ বা মাসব্যাপী জ্বর থাকতে পারে এবং বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়