Saturday, July 7

দলকে সংগঠিত করুন, মানুষের দ্বারে দ্বারে যান : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে এখন থেকেই মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে। মানুষ কিন্তু ভুলে যায় এ জন্য আমাদের উন্নয়ন দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে, তাদের কাছে বারবার যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার তৃতীয় পর্যায়ে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন। খবর বাসস।

সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তৃতা করেন। দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। গ্রামের অর্থনীতি আজ উন্নত হয়েছে এবং জনগণের আয় বাড়ায় তারা সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারছে- এ কথাগুলো সবাইকে বলতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ব্যতীত কোন রাজনৈতিক দলই দেশের দরিদ্র মেহেনতী জনগণের জন্য কিছু করেনি। দেশের মানুষের দোড়গোঁড়ায় স্বাস্থ্যসেবাকে নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা মানুষও আর ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না, একটা মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না, সকলেই প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

‘জনগণের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের নতা-কর্মীদের ভোট চাইতে হবে। যাতে তারা অতীতের মতো আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দল এবং সহযোগী সংগঠনের অভ্যন্তরীণ মতভেদ এবং দ্বন্দ এখনই মিটিয়ে ফেলার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আগামীর নির্বাচন অতীতের যেকোন সময়ের চাইতেই কঠিন হবে।

‘কোন আসন নিয়ে অমনোযোগী হবার সুযোগ নেই, কোন আসন নিয়ে অমনোযোগী হবার মানেই হবে সে আসনে পরাজয়, যার কারণে আমাদের সরকার গঠনের সুযোগ ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে, বলেন তিনি।

তাঁর সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ টেনে এনে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে এই বিচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবার মানুষের ওপর, তাদের জানমালের ওপর আক্রমণ শুরু করে দেবে, দারিদ্র্য বাড়িয়ে শিক্ষার হার কমিয়ে ফেলবে, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচি, উন্নয়ন কর্মকান্ড সব বন্ধ করে দেবে, অতীতে যেমনটি করেছিল’।

সরকার প্রধান বলেন, ‘কাজেই আপনাদের শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, এর সহযোগী সংগঠনগুলোকেও শক্তিশালী করে তুলতে হবে।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়